করোনার টিকা ছাড়া মসজিদে যাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে পাকিস্তান ন্যাশনাল কমান্ড অ্যান্ড অপারেশন সেন্টার (এনসিওসির)। শনিবার (২২ জানুয়ারি) এমন কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শুধু মসজিদে নয় টিকা ছাড়া প্রবেশ করা যাবে না কোনো ধর্মীয় উপাসনালয়ে।
এসসিওসির আরও জানায়, সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে শুধুমাত্র টিকা দেওয়া থাকলেই প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও দেশটির সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রবেশের জন্য মাস্ক পরা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা ও অন্তত ছয় ফুট সামাজিক দূরত্ব বজায় বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
জানা গেছে, পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার ৩৫ শতাংশ করোনা টিকা নেওয়ার পরও দেশটিতে সংক্রমণে হাজার বেড়ে গেছে। ফলে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে আরও নানা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে এনসিওসি। এনসিওসি দেশটির করোনভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতির একটি বিশদ পর্যালোচনা করে এর বিস্তার রোধে একাধিক স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়ন করেছে।
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। অন্য যেকোনো ধরনের তুলনায় ওমিক্রন খুব দ্রুত ছড়ায়।
বাংলাদেশেও করোনার প্রকোপ অনকে বেড়েছে। বর্তমানে দেশটিতে সংক্রমণের হার প্রায় ২৯ শতাংশ। করোনার প্রকোপ বাড়ায় বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যেই ১১টি বিধিনিষেধ জারি করেছে। একই সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণাও দিয়েছে। জনসমাগমে উপস্থিতির সংখ্যা নির্দিষ্ট করে টিকা সনদ দেখাতে বলেছে।
যদিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তারা বলছেন, বাণিজ্য মেলা, বিপিএল চললে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু রাখতে বাধা কোথায়। তবে শুরুতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পক্ষে ছিলো না সরকারও। পরে সংক্রমণ বাড়ায় এবং বেশ কিছু শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্তের খবরে অনেকটা বাধ্য হয়েই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে।