ডেস্ক রিপোর্ট: আগামী শনিবার দুপুরের মধ্যে জিম্মিদের মুক্তি না দিলে যুদ্ধবিরতি বাতিল ও ফের যুদ্ধের হুমকি দিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি গাজার ভেতরে ও আশপাশে ইসরায়েলি বাহিনীকে জড়ো হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
লড়াই ফের শুরু হলে হামাস পরাজিত না হওয়া পর্যন্ত চলবে বলে ঘোষণা করেন নেতানিয়াহু। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার এক বৈঠকের পর নেতানিয়াহু ওই হুঁশিয়ারি দেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, মন্ত্রিসভার এ বৈঠকে দেশটির প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র ও জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রীরা অংশ নেন। তারা সবাই ওই হুঁশিয়ারির বিষয়ে পূর্ণ সমর্থন দেন।
বিবিসি জানিয়েছে, তবে তিনি সুনির্দিষ্ট করে বলেননি— শনিবার ৭৬ জনের মুক্তি চান নাকি ওইদিন যে তিনজনকে মুক্তি দেয়ার কথা- তাদের কথা বলছেন। তবে এক ইসরায়েলি মন্ত্রী বলেছেন এখানে ‘সবার’ কথাই বোঝানো হয়েছে।
সোমবার হামাস বলেছে, ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধবিরতির সমঝোতা লঙ্ঘন করছে। এর সমাধান না হলে পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত আর কোনো জিম্মিকে মুক্তি দেবে না তারা।
এর জবাবে নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘হামাস যদি শনিবার দুপুরের মধ্যে আমাদের জিম্মিদের ফেরত না দেয়, যুদ্ধবিরতির অবসান ঘটবে আর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (সামরিক বাহিনী) তীব্র লড়াইয়ে ফিরে এসে হামাসের চূড়ান্ত পরাজয় না হওয়া পর্যন্ত চালিয়ে যাবে।’
ইসরায়েলি সংবাদপত্র হারৎজকে একটি সূত্র জানিয়েছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী শনিবার তিন জিম্মি মুক্তি পেলে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চালিয়ে যেতে আগ্রহী।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপ ছয় সপ্তাহ স্থায়ী হওয়ার কথা রয়েছে। এ সময় গাজার প্রায় ১ হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনি বন্দীর বিনিময়ে মোট ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৬ জন জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। চুক্তির শর্তাবলির বাইরে হামাস পাঁচজন থাই জিম্মিকে হস্তান্তর করেছে। বাকি ১৭ ইসরায়েলি জিম্মিকে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে।