ডেস্ক রিপোর্ট: রাজশাহী কলেজ মুসলিম ছাত্রাবাসে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের এক কর্মীকে আটকের পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২:৩০ মিনিটের দিকে মুসলিম ছাত্রাবাসের সামনে এক চায়ের দোকানে সন্দেহজনকভাবে অবস্থান করছিল মোঃ আতিকুর রহমান। সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিষয়টি নজরে এনে তাকে ছাত্রাবাসে নিয়ে আসার পর জিজ্ঞাসাবাদ ও মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে।
আটককৃত আতিকুর রহমান রাজশাহীর বাগমারা থানার আঃ খালেকের ছেলে এবং রাজশাহী কলেজ হিসাববিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে আতিক মুসলিম ছাত্রাবাসের বি-ব্লকের বাসিন্দা ছিল। তখন থেকেই সে শিক্ষার্থীদের ওপর বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন ও হয়রানি চালিয়ে আসছিল। তার মোবাইল ফোন ঘেঁটে দেখা গেছে, সে এখনো নিয়মিত ছাত্রলীগের বিভিন্ন পোস্ট শেয়ার করে এবং সংগঠনটির বিভিন্ন গ্রুপের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছে।
রাজশাহী কলেজ ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠনের কর্মীদের কোনোভাবেই কলেজ ক্যাম্পাসে বা ছাত্রাবাসে থাকার সুযোগ দেওয়া হবে না। সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আতিকুর রহমানকে আটক করা হয়েছে, যা প্রশংসনীয়। ভবিষ্যতে এমন কাউকে দেখলে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মু: যুহুর আলী বলেন, আমাকে ছাত্ররা ফোন দিয়েছিল দিয়ে বলেছে একজন ছাত্রলীগ কর্মীকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ধরে আটকে রেখেছে। আমি তখন সঙ্গে সঙ্গে থানায় ফোন দিয়ে পুলিশ যেতে বলি। পুলিশ এসে তাকে থানায় নিয়ে গেছে।
বোয়ালিয়া থানার ডিউটি অফিসার খাতামুন আম্বিয়া বলেন, তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে, এখন পর্যন্ত তাকে কোন মামলা দেওয়া হয়নি।