ডেস্ক রিপোর্ট: গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছেন সংগঠনটির আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে শহরের রাজবাড়ী সড়কে পৌঁছান এই দুই কেন্দ্রীয় নেতা। তারা সড়ক আটকে অবস্থানরত নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংহতি জানান।
সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের ভাষ্য, শুক্রবার রাতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ধীরাশ্রম এলাকায় পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের খবর পেয়ে ছাত্ররা বন্ধ করতে গেলে তাদের ওপর হামলা হয়। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
এই ঘটনার প্রতিবাদে গাজীপুর সদর উপজেলার রাজবাড়ী মাঠে প্রতিবাদ সমাবেশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেখানে বক্তব্য দেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আরিফ সোহেল, জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক আলী নাসের খানসহ স্থানীয় ছাত্রনেতারা।
দুপুর ১টার দিকে সমাবেশ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ফটকের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন। পরে কেন্দ্রীয় দুই নেতা তাদের সঙ্গে যোগ দেন।
সেখানে সারজিস আলম শুরু হতে যাওয়া অপারেশন ডেভিল হান্ট প্রসঙ্গে বলেন, ‘এই বাংলাদেশ থেকে সন্ত্রাসীদের বের করতে হবে। এই অপারেশন দুয়েক দিনের গ্রেপ্তার অভিযানের মতো হলে চলবে না। আমরা আগামী কিছুদিনের মধ্যে পুরো বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গার গর্ত থেকে বের হয়ে রাজপথে যে সন্ত্রাসীরা মাঝেমধ্যে উঁকি দিচ্ছে, তাদের সবাইকে জেলখানার ভেতর দেখতে চাই।’
সারজিস বলেন, ‘বাংলাদেশের কোথাও আমার কোনো সহযোদ্ধার গায়ে কেউ হাত দেওয়ার চেষ্টা করলে পুরো বাংলাদেশ নতুন করে আবার জেগে উঠবে। আমরা প্রয়োজনে যেমন ঢাকায় নামতে পারি, গাজীপুরে আসতে পারি আমরা প্রয়োজনে সারা দেশে ছড়িয়ে যেতে পারি। আমরা অভ্যুত্থানে দেখিয়েছি এ দেশের ছাত্র-জনতা সঠিক রাস্তা বিনির্মাণে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ধৈর্য ধরেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আজকে এখানে অবস্থান করব। প্রশাসনের কাজ দেখব। যতক্ষণ পর্যন্ত না আমাদের এ দাবিগুলোর বাস্তবায়ন হচ্ছে, ওই সন্ত্রাসীরা কারাগারে যাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের অবস্থান হবে রাজপথে।’