The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
রবিবার, ২রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের উদ্যোগে স্বাস্থ্য সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার ও এর সম্ভাবনা নিয়ে “আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ফর প্রেডিকটিং রেটিনাল ডিজিজ, স্ট্রোক, অ্যান্ড হার্ট অ্যাটাক: এ পাথওয়ে ফ্রম কনসেপ্ট টু ক্লিনিক্যাল সেটিংস” শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের সেমিনার কক্ষে এই সেমিনার শুরু হয়।

আইসিটি বিভাগের শিক্ষার্থী কারিশমা মেহজাবিনের উপস্থাপনায় ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাসান এর সভাপতিত্বে সেমিনারের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান।

সেমিনারের মূল আলোচক হিসেবে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান HealthScreen Inc.-এর প্রধান বিজ্ঞানী এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ড. আলাউদ্দিন ভূঁইয়া।

তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা  ব্যবহারের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবায় সম্ভাবনাময় পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করেন, বিশেষ করে চোখের রোগ, স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক নির্ণয়ের উন্নত পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত ধারণা দেন। এছাড়া, চিকিৎসা খাতে এআই কীভাবে ব্যবহৃত হতে পারে, তা নিয়েও তিনি আলোকপাত করেন।

তিনি তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ, আদান প্রদান ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ তুলে ধরেন। নতুন উদ্যোক্তা ও গবেষকদের জন্য পাশাপাশি, এআই খাতে অর্থায়নের কৌশল  সম্পর্কেও সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন‚ “বর্তমানে এআই নিয়ে অনেক কথা চলছে৷ আজকে মূল আলোচক এআই এর স্বাস্থ্য বিষয়ক ব্যবহার সম্পর্কে বলবেন। সেইসাথে আমাদের আরেকটা ব্যাপারও ভাবতে হবে, যে এআই এর ফলে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা কেমন হবে, কীভাবে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। এই যে চ্যাটবটগুলো এগুলো পৃথিবীর সব ভাষা জানে, সব জ্ঞান আছে এর মধ্যে। এআই এর সাহায্যে হয়তো তোমাদের মধ্য থেকেই কেউ এমন এডুকেশন মডেল আবিষ্কার করবে যা সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিবে। সারা পৃথিবী এখন ভাবতে বসেছে আমাদের এই চ্যাটবটগুলো যতটা এ্যাভেইলেভল হয়ে গেছে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা কেমন হওয়া উচিত। হয়ত আমূল পরিবর্তন আসতে পারে। তাই এআই এর যুগে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে ভাবতে হবে”।

বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন, “এআই আমাদের জীবনের সাথে গভীরভাবে জড়িয়ে যাচ্ছে, তবে মানুষের হাতেই এর নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত। তিনি বলেন, “মানুষের রয়েছে বিচার-বুদ্ধি, যা এআই এর নেই। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, প্রযুক্তি যেন মানুষকে নিয়ন্ত্রণ না করে, বরং মানুষই প্রযুক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করে।”

এছাড়া, পরিবেশ ও মানুষের সম্পর্ক নিয়েও আরও গবেষণার প্রয়োজন বলে এসময় তিনি মন্তব্য করেন।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.