ডেস্ক রিপোর্ট: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান হল’ এর নাম পরিবর্তন করে ‘বিজয়-২৪ হল’র নামফলক ঝুলিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী কর্মসূচির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৯টা ২০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হল থেকে একটি মিছিল নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে এসে নামফলক পরিবর্তন করেন শিক্ষার্থীরা। নামফলক পরিবর্তন শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি শাহপরান হলে এসে শেষ। বিক্ষোভ মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা বক্তব্য প্রদান করেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘ছাত্রলীগের ঠিকানা, এ বাংলায় হবে না’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধরে ধরে জবাই কর’, ‘হই হই রই রই, ছাত্রলীগ গেলো কই’, ‘স্বৈরাচারের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ইত্যাদি স্লোগান দিতে শোনা যায়।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ওবাইদুল্লা, সমাজকর্ম বিভাগের আজাদ শিকদার, অর্থনীতি বিভাগের রবিউল, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পলাশ বখতিয়ার এবং রসায়ন বিভাগের সরকার জীবন প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন।
৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত মতবিনিময় ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে ইঙ্গিত করে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী রবিউল বলেন, ‘আজকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি প্রোগ্রামে দেখলাম আওয়ামী দোসরেরা মঞ্চে উঠে বক্তব্য দিচ্ছেন। তাদেরকে যদি এভাবে সুযোগ দেওয়া হয় তাহলে তাদের অঙ্গসংগঠনের কর্মসূচি ঘোষণা করাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তাই আমাদেরকে শাবিপ্রবি থেকে শুরু করে দেশের সকল জায়গায় আওয়ামী দোসরদেরকে প্রথমে উৎখাত করতে হবে।’
অন্যান্য বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলো ফ্যাসিজম কায়েমের প্রথম নায়ক। সেই প্রথম বাকশাল কায়েম করে ফ্যাসিজমের বীজ বপন করেছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাসিস্টের নামে কোনো স্থাপনা থাকুক সেটি শিক্ষার্থীরা চায় না। শিক্ষার্থীদের চাওয়াকে প্রাধান্য দিয়েই আমরা হলের নামফলক পরিবর্তন করেছি।
ছাত্রলীগের ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, জুলাই আগস্টে গণহত্যা পরিচালনা করে নিষিদ্ধ হওয়া ছাত্রলীগ কীভাবে কর্মসূচি ঘোষণা দেয় আমাদের বুঝে আসে না। আমরা দেখতে পাচ্ছি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা সুশীল সেজে বীর দর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমরা হুঁশিয়ারি করে বলতে চাই যদি ছাত্রলীগ কোনোভাবে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে চায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা তা কঠিন হাতে দমন করবে।