ডেস্ক রিপোর্ট: শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুযোগ বাতিল হওয়ার পর নিলামে উঠছে সাবেক ২৪ এমপির গাড়ি। চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আগামী সপ্তাহে এসব গাড়ি নিলামে তুলে বিক্রির টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করবে।
কাস্টমসের তথ্যমতে, এসব গাড়ি আমদানিতে সাবেক এমপিরা ৯৫ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা পরিশোধ করেন। গাড়িগুলোর শুল্ক–করসহ দাম ৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম নিলামে ৬০ শতাংশ বা তার বেশি সর্বোচ্চ দরদাতা এসব গাড়ি কিনতে পারবেন। প্রতিটি গাড়ি কিনতে ৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা দর দিতে হবে। ২৫ শতাংশ করসহ একটি গাড়ির দাম পড়বে ৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপকমিশনার সাইদুল ইসলাম বলেন, রবিবার (২৬ জানুয়ারি) থেকে ২৪টি গাড়ি অনলাইন নিলামে তোলা হবে। নতুন কার শেডে রাখা এসব গাড়ি আগ্রহী দরদাতারা ২-৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেখতে পারবেন। নিলাম শেষ হবে ১৬ ফেব্রুয়ারি। যে কেউ অনলাইনে নিলামে অংশ নিতে পারবেন।
তিনি জানান, শুল্কমুক্ত সুবিধায় খালাস হওয়া একেকটি গাড়িতে আয়কর বাবদ সরকার ৪ লাখ ৮০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা রাজস্ব পেয়েছে। প্রথম নিলামে বিক্রি হলে প্রতিটি গাড়িতে প্রায় ৭ কোটি টাকা পাওয়া যাবে।
জানা গেছে, নিলামে তোলা হচ্ছে টয়োটা ব্র্যান্ডের ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ি। এসব গাড়ি আমদানি করেছিলেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি মোহাম্মদ সাদিক, ময়মনসিংহ-৭ আসনের সাবেক এমপি এ বি এম আনিসুজ্জামান, আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মজিবুর রহমান ও জান্নাত আরা হেনরী, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সানজিদা খানম, এস এম কামাল হোসেন, মুজিবুর রহমান, মো. আসাদুজ্জামান, নাদিয়া বিনতে আমিন, মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর, অনুপম শাহজাহান জয়, সাজ্জাদুল হাসান, মো. সাদ্দাম হোসেন (পাভেল), তারানা হালিম, সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, আখতারউজ্জামান, মো. আবুল কালাম আজাদ, রুনু রেজা, মো. তৌহিদুজ্জামান, শাহ সারোয়ার কবীর, এস এ কে একরামুজ্জামান, এস এম আল মামুন, আবদুল মোতালেব, শাম্মী আহমেদ ও মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ।