পরীক্ষা না দিয়ে ছাত্রলীগ নেত্রীকে পাস করানোর ঘটনায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণিত বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. রুহুল আমিনকে অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এর আগে গতকাল বুধবার ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আজ বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সুরাইয়া ইয়াসমিন ঐশী পরীক্ষা না দিয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমে একই বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসায় তাঁকে ওই পদ থেকে অব্যাহতি দেয় প্রশাসন। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর ওই পদে পরিসংখ্যান বিভাগের প্রফেসর ড. মো. শাহজামানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, একই ঘটনায় প্রফেসর ড. মো. রুহুল আমনিকে আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস কেন্দ্রে ‘এ’ ইউনিটের সমন্বয়কের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ২ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মাস্টার্স প্রথম সেমিস্টারের ৫১০২ কোর্সের মিডটার্ম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই পরীক্ষায় ছাত্রলীগ নেত্রী সুরাইয়া ইয়াসমিন ঐশীকে অংশ নিতে কেউ দেখেননি। কিন্তু ১৮ ডিসেম্বর ফলাফল প্রকাশ হলে উত্তীর্ণের তালিকায় তাঁর নাম আসে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়।
পরীক্ষা না দিয়ে পাস করলেন ছাত্রলীগ নেত্রী ঐশীপরীক্ষা না দিয়ে পাস করলেন ছাত্রলীগ নেত্রী ঐশী
উল্লেখ, শিক্ষার্থী সুরাইয়া ইয়াসমিন ঐশী নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের বেরোবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক। ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের বিভিন্ন কার্যক্রমে প্রথম সারিতে থাকতেন তিনি। গত ৫ আগস্টের পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন এই নেত্রী।