ডেস্ক রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের উত্তর দিকে নতুন একটি দাবালন শুরু হওয়ার পর জোরালো বাতাস ও শুষ্ক ঝোপাঝাড়ের কারণে ৯৪০০ একরেরও বেশি এলাকাজুড়ে (৩৮ বর্গকিলোমিটার) ছড়িয়ে পড়েছে। খবর রয়টার্সের।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) আগুন ছড়িয়ে পড়ার পর ওই এলাকার ৩১ হাজারেরও বেশি বাসিন্দাকে ঘরবাড়ি ছেড়ে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নতুন এই দাবানল লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার উত্তর দিকের হিউজেস দাবানলের আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত দমকল বাহিনীকে আরও চাপের মধ্যে ফেলেছে। এর আগে, লস অ্যাঞ্জেলেস এলাকার দুটি বড় দাবানলের বেশিরভাগ নিয়ন্ত্রণে এসেছিল।
নতুন দাবানলটি কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই লস অ্যাঞ্জেলেসের দুই বড় দাবানলের অন্যতম ইটন আগুনের দুই তৃতীয়াংশের সমান হয়ে দাঁড়ায়। ইটন আগুনে লস অ্যাঞ্জেলসের বিশাল এলাকা ধ্বংস হয়ে গেছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির কাসটাইক লেক এলাকার বাসিন্দাদের জানানো হয়েছে, তাদের জীবনের ‘তাৎক্ষণিক ঝুঁকি’ রয়েছে। একই সঙ্গে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার অনেক অংশে শক্তিশালী শুষ্ক বাতাসের কারণে তীব্র অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিতে রয়েছে। এর ফলে, এসব অঞ্চলে রেড-ফ্ল্যাগ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রেড ফ্ল্যাগ সতর্কীকরণের কারণে প্রায় ১১ হাজার দমকল কর্মীকে ক্যালিফোর্নিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের আশপাশে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়া ডিপার্টমেন্ট অব ফরেস্টি এন্ড ফায়ার প্রটেকশন (ক্যাল ফায়ার) জানিয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির দমকল প্রধান অ্যান্থনি মারোনে জানিয়েছেন, হিউজ আগুনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে চার হাজারেরও বেশি দমকল কর্মী কাজ করছেন।
দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া গত ৯ মাসে তেমন কোনো বৃষ্টি না হওয়ায় এই বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে শনিবার থেকে সোমবারের মধ্যে কিছু বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে, যা দমকল কর্মীদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করতে পারে।
ক্যাল ফায়ার জানিয়েছে, ৭ জানুয়ারি থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসকে ছারখার করে দেওয়া দুই প্রাণঘাতী দাবানল প্রায় নিয়ন্ত্রণে আসার পর নতুন দাবানল তাণ্ডব শুরু করেছে।
লস অ্যাঞ্জেলেসের পূর্ব দিকের ইটন আগুন ৫৭ বর্গকিলোমিটার এলাকা পুড়িয়ে দেওয়ার পর দাবানলটির ৯১ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। আর পশ্চিম দিকে থাকা সবচেয়ে বড় দাবানল প্যালিসেডস আগুন ৯৫ বর্গ কিলোমিটার ছাই করে দেওয়ার পর এর ৬৮ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে।