The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫

পুরোটাই সাজানো ছিল কি, সাইফের ওপর হামলার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন

ডেস্ক রিপোর্ট: নিজ বাড়িতে বুধবার রাতে দুষ্কৃতীর আক্রমণের শিকার হওয়ার পর টানা ৫ দিন হাসপাতালে ছিলেন বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খান। চিকিৎসা নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিনি। খুঁড়িয়ে, খুঁড়িয়ে হাঁটা নয়, মুখে ব্যাথার কাকুতি-মিনতিও নয় বরং রীতিমতো সিংহের বেশে দৃপ্ত পায়ে হেঁটে হাসপাতাল থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসপাতাল থেকে বের হয়েই পাপারাজ্জিদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে করজোড়ে অভিবাদন জানাতেও দেখা যায় বলি-তারকাকে। এসময় সাইফের পরনে ছিল সাদা শার্ট, জিন্‌স, বাঁ হাতের কব্জিতে বাধা ব্যান্ডেজ, ছোট করে ছাঁটা চুল, পরিষ্কার কামানো দাড়ি।

কড়া নিরাপত্তার মধ্যে অভিনেতাকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান স্ত্রী কারিনা কাপুর, পরিবারের সদস্যেরা ও পুলিশ। তবে সাইফ বাড়ি ফিরতেই এরপর থেকে সামাজিক যোগাযোমাধ্যমে ঘুরপাক খাচ্ছে একটি প্রশ্ন- ‘আদৌ কি কিছু হয়েছিল সাইফ আলি খানের? নাকি পুরো ব্যাপারটাই সাজানো?’

কেন এ ধরনের প্রশ্ন ওঠাচ্ছেন ভারতীয়রা, সে যুক্তিও দিয়েছেন নেটিজেনরা। তাদের প্রশ্ন- ‘যে ব্যক্তির এত বড় অস্ত্রোপচার হয়েছে সেটাও আবার মেরুদণ্ডে, সে কী করে এত তাড়াতাড়ি দৃপ্ত ভঙ্গিতে হাঁটাচলা করতে পারে? এরকম গুরুতর আঘাত, বড় একটি অস্ত্রোপচারের পর কি এত তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠা যায়?’ কেউ আবার লিখছেন- ‘যা হয়েছে, তার থেকে বেশি পল্লবিত হয়েছে গোটা ঘটনা।’

সাইফের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিবসেনার প্রাক্তন সাংসদ সঞ্জয় নিরুপম। তিনি বলেন, ‘যার এমন একটা অস্ত্রোপচার হয়েছে, তিনি কীভাবে এমন নাচতে নাচতে বাড়ি ঢুকলেন?’

সাবেক এই সাংসদের মন্তব্য, ‘আমার একটা সরল প্রশ্ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান এতটাই উন্নতি করেছে যে সাইফ একেবারে নাচতে নাচতে বাড়ি ফেরেন! আমার মনে হয়, পরিবারের তরফ থেকে জানানো উচিত, ঠিক কতটা আহত হয়েছিলেন তিনি। সাইফ এমনভাবে হাসপাতাল থেকে বেরোলেন, যেন কিছুই হয়নি!’

শুধু তা-ই নয়, চিকিৎসকদের কাছেও প্রশ্ন করেছেন সঞ্জয় নিরুপম। তার কথায়, ‘যার ৬ ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার হয়েছে, তিনি চার দিনে চাঙ্গা হয়ে গেলেন কীভাবে?’

লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, সাইফের শরীরে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় পড়েছে এলোপাথাড়ি ছুরির কোপ। শরীরে ছিল ৬টি ক্ষত, তার মধ্যে দুটি বেশ গভীর। পিঠে গেঁথে ছিল আড়াই ইঞ্চি ছুরি। ঘাড়েও গভীর ক্ষতচিহ্ন ছিল।

চিকিৎসকরা প্রথম দিনেই জানিয়েছিলেন, অল্পের জন্য বড় বিপদ থেকে বেঁচে গেছেন বলি-তারকা। না হলে ঘটতে পারত আরও বড় কিছু। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়েও শরীরে গেঁথে ছিল ছুরির অংশ, চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করে তা বের করেন। শিরদাঁড়ায় ২.৫ ইঞ্চির ছুরি গেঁথে ছিল, আর সে কারণে সেরিব্রোস্পাইনাল তরল নির্গত হয়েছিল বলেও জানা যায়।

এভাবে আহত হওয়ার পরও সাইফকে ৫ দিনের মাথায় ফিট দেখেই তার ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা। যাদের একাংশের দাবি, যতটা না ঘটেছে তার চেয়ে বেশি রটেছে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.