ডেস্ক রিপোর্ট: মেডিক্যাল ভর্তিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে কোটার ন্যায্য বণ্টন চেয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ তিন উপদেষ্টাকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার ডাক ও সংশ্লিষ্টদের অফিশিয়াল ই-মেইলে নোটিশটি পাঠিয়েছেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য জায়েদ বিন নাসের।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম ও শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকেও নোটিশটি পাঠানো হয়।
নোটিশে বলা হয়েছে, ‘অনেক প্রাণ ঝরে যাওয়ার পর চাকরিতে কোটা বাতিল করে বিগত সরকারের আমলে বিচার বিভাগ মোটামুটি একটা যৌক্তিক রায় দেন।
কিন্তু ভর্তি পরীক্ষা একটি প্রতিযোগিতামূলক মেধাভিত্তিক পরীক্ষা। এখানে মুক্তিযোদ্ধা কোটা থাকা বাংলাদেশের মূল্যবোধের পরিপন্থী। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এবং অনগ্রসর অংশের জন্য সীমিত আকারে বিশেষ সুবিধার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তবে মেধার যাচাই মূল্যায়নে কোনোভাবেই কোটার স্থান থাকতে পারে না। এ ধরনের কোটার বিধান সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক সুবিচারের মূল্যবোধ পরিপন্থী।’
এতে আরো বলা হয়, ‘বাংলাদেশ রাষ্ট্রের চরিত্র এবং আইনগত ভিত্তি সম্পন্ন মূল্যবোধের সাথে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিধান থাকা সম্পূর্ণরূপে সাংঘর্ষিক। এ ধরণের সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রের নীতিগত ও সরকারের রাজনৈতিক ইচ্ছাধীন বিষয়।’
‘রাষ্ট্রের নির্বাহী প্রধান হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টার ওপর এ ধরনের সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকার দায় বর্তায়। মেডিক্যাল ভর্তিসহ অন্যান্য মেধাভিত্তিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে কমিশন গঠন করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে কোটার ন্যায্য ও যৌক্তিক পুনর্বিন্যাস না করলে দেশের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী প্রতিকারের জন্য আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’