ডেস্ক রিপোর্ট: চলমান বিপিএলের শুরুতেই টিকিট বিতর্ক, পরে যোগ হয়েছে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক না দেওয়ার মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। বিশেষ করে দুর্বার রাজশাহীর খেলোয়াড়রা তো অনুশীলনই বর্জন করেছিলেন। ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ ও বিসিবির সাবেক পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন এ বিষয়টি ‘লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন।
গতকাল চট্টগ্রামে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে সুজন বলেন, ‘বিপিএলে ভালো কিছু হচ্ছে না এবং আমরা গোছানো বিপিএল আয়োজনে ব্যর্থ। টিকিট নিয়ে সংকট, মানুষের চেঁচামেচি; বাংলাদেশের মানুষ কয়জন অনলাইন থেকে টিকিট কিনতে পারে? রিকশাওয়ালা কি অনলাইনে টিকিট কাটতে পারবে, সে খেলা দেখবে না? আমরা তো এখনও ওই স্ট্যান্ডার্ডে পৌঁছাইনি। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করতে হবে। কালোবাজারি বন্ধ করতে গিয়ে এটা করবেন তো সেই কালোবাজারি বন্ধ করতে পারলেন?’
খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক না দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, ‘বিপিএলে ছয় ম্যাচ হওয়ার পর একটা দল বলছে তারা (খেলোয়াড়) আর খেলবে না।
কারণ তারা প্রাপ্য টাকা পায়নি। এটা তো আমাদের জন্য আসলেই লজ্জাজনক। ব্যাংক গ্যারান্টি কোথায়? বিসিবি কেন ব্যাংক গ্যারান্টি ভাঙিয়ে টাকা দিয়ে দিচ্ছে না? আমার কথা হচ্ছে বিসিবির বিপিএল গভর্নমেন্ট বডির কাজটা কী তাহলে? একটা টিম করতে মিনিমাম ৮ কোটি টাকা লাগবে। আমার কাছে ৮ কোটি টাকা না থাকলে আমি বিপিএলের টিম কিনব কেন? আমি তো মানুষের আশায় কিনিনি যে, মানুষ আমাকে স্পন্সর দেবে। আপনি তো স্পন্সর পেতেও পারেন, না-ও পেতে পারেন।’
এছাড়া, চলমান বিপিএলে ঢাকা ক্যাপিটালসের পারফরম্যান্সও হতাশাজনক। দলের কোনো ভারসাম্যপূর্ণ একাদশ গঠন করতে পারছে না। ৮ম্যাচের মধ্যে এক জয়ে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে অবস্থান করছে তারা। এমন ব্যর্থতার কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না সুজন নিজেও।
হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এটা স্কুল ক্রিকেট না যে কাউকে বকা দিয়ে শেখানো যাবে। এমন না যে ট্রেনিং কম হয়েছে, সেটাও না। আমি বুঝতে পারছি না আসলে কেন এমন হচ্ছে। ডিপ্রেসড আসলে। আমাদের ফরেন প্লেয়ারের কোয়ালিটি মানসম্মত নয়, না ফাস্ট বোলার না স্পিনার। মোমেন্টামটা ছুটল, আর ওইখান থেকে আমরা কামব্যাক করতে পারছি না। প্রতিদিন হারছেন, এখান থেকে মোটিভেট করা যে কতটা কঠিন, আমি জানি আসলে।’