ডেস্ক রিপোর্ট: জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সর্বদলীয় বৈঠকে অংশ নিতে আজ বৃহস্পতিবার বিকালে একে একে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আসছেন। বৈঠকে অংশ নিতে এরই মধ্যে প্রধান উপদেষ্টাও উপস্থিত হয়েছেন।
আজ বিকাল সাড়ে ৪টা নাগাদ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, গণতন্ত্র মঞ্চ, খেলাফত মজলিস ও গণঅধিকার পরিষদ (একাংশ), রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, জেএসডি, বাসদ (মার্কসবাদী) ও জাতীয় গণফ্রন্টের প্রতিধিনিরা উপস্থিত হয়েছেন।
স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধি দল, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদেরের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান ও যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম ফরেন উপস্থিত হয়েছে।
গণতন্ত্র মঞ্চের প্রতিনিধি ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকী ও গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ) সভাপতি নূরুল হক নূরকেও ভেতরে ঠুকতে দেখা গেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমও উপস্থিত হয়েছেন।
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সদস্য সচিব আরিফ সোহেল ও মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, বাসদের (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, জাতীয় গণফ্রন্টের নেতা কামরুজ্জামান উপস্থিত হয়েছেন।
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে আজ বিকাল ৪টা থেকে সর্বদলীয় বৈঠক শুরু হওয়ার কথা গত মঙ্গলবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
এর আগে গত ১০ জানুয়ারি মাহফুজ আলম বলেছিলেন, ঘোষণাপত্র সরকার দেবে না। সরকার ঘোষণাপত্রের প্রক্রিয়াকে সহায়তা করছে। ঘোষণাপত্র আসবে সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে চেয়েছিল। এ ঘোষণাপত্র নিয়ে তখন দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা তৈরি হয়। হঠাৎ ঘোষণাপত্রের বিষয়টি কেন সামনে আনা হলো, এর প্রভাব কী হতে পারে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন ওঠে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং তখন এ উদ্যোগের সঙ্গে সরকার সম্পৃক্ত নয় বলে উল্লেখ করেছিল।
পরে ৩০ ডিসেম্বর রাতে জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের একটি ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ওই রাতেই বৈঠক করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়। পরে এ লক্ষ্যে জনমত তৈরিতে প্রচারপত্র বিলি ও জনসংযোগ করেছে তারা।