নাইমুর রহমান, জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী আবাসনের দাবিতে গণ অনশন কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
গতকাল বৃহষ্পতিবার (০৯ জানুয়ারী) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা আগামী রোববার সকাল নয়টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে এ কর্মসূচি পালন করবেন শিক্ষার্থীরা । দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ও অস্থায়ী আবাসন নিশ্চিতে সুনির্দিষ্ট কোনো রোডম্যাপ না পাওয়া পর্যন্ত তাদের এ কর্মসূচি চলবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান তানজিল লিখেছেন, দাবি আদায়ের লক্ষ্যে জবিয়ানরা জবির ইতিহাসে সর্ববৃহৎ আন্দোলনও করেছে। জবি প্রশাসনের আশ্বাসের প্রতি আস্থা রেখে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন বন্ধ করে আল্টিমেটাম দিয়ে রাখলেও প্রশাসন দৃশ্যমান কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই আমাদের প্রশাসন আমাদেরই আস্থা হারিয়েছে।প্রশাসনের সাথে আর লিয়াজোঁ নয়।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক মো: ফসসাল মুরাদ গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন। এবং সকলকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে গণ অনশনে যোগ দিতে বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাজের ধীরগতি আমাদের আশাহত করেছে উল্লেখ করে আন্দোলনের অন্যতম সংগঠন একেএম রাকিব বলেন, মন্ত্রণালয়ের মিটিংয়ের পর আমরা আমাদের নতুন প্রশাসনে একটা যৌক্তিক সময় দিয়েছিলাম। কিন্ত এতোদিন পার হলেও আমরা কোনো অগ্রগতি দেখতে পাইনি। পুনরায় তারা আবার চিঠি চালাচালির বিষয়টি দেখাছে। এজন্য আমরা অনশনের ঘোষণা করেছি। যতদিন না দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের চুক্তি হয় আমরা আমরণ অনশনে থাকব।
আন্দোলনের মুখপাত্র তৌসিব মাহমুদ সোহান বলেন, দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তরের জন্য আমরা যখন সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছিলাম গত ১২ নভেম্বর। দুই মাস পার হলেও আমরা কোনো দৃশ্যমান অগ্রগ্রতি পাইনি। প্রশাসন ও সচিবালয় থেকে আমাদের কোনো অগ্রগতি জানানো হয়নি। এজন্য আমরা অনশনের মত কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের নভেম্বরে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তরসহ তিন দাবিতে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়, জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তরে বাধা নেই। এ বিষয়ে সহযোগিতা করবে মন্ত্রণালয়। তবে দুই মাস পেরোলেও দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যায়নি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।