The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪

রুম সংকটে এক সাথে অফিস করেন ববি উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারার

মেহরাব হোসেন, ববি প্রতিনিধি: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ( ববি) ট্রেজারার নিয়োগ হলেও রুম সংকটে এক সাথে অফিস করেন উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারার।

শিক্ষক শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ ও দীর্ঘ আন্দোলনের মুখে গত ১৯ ডিসেম্বর বিতর্কিত ট্রেজারার আবু হেনা মোস্তফা কামাল খানকে অপসারণ করে নতুন ট্রেজারার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় ড. মো. মামুন অর রশিদকে। ড. মো. মামুন অর রশিদ ১৯ ডিসেম্বরেই বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করলেও এখন পর্যন্ত অফিস পাননি।  বাধ্য হয়েই ড. মামুন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানীর সাথে এক কক্ষে অফিস করছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, নতুন ট্রেজারারের অফিসের জন্য এডমিন-১ এর তৃতীয় তলায় একটি ল্যাবরুম সরিয়ে সেখানে ট্রেজারারের অফিস করা হবে। উক্ত ল্যাব রুমটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ পুলের অফিসে ট্রান্সফার করা হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ পুলের অফিস করা হবে ডেপুটি রেজিস্ট্রার বাহাউদ্দিন গোলাপের কক্ষটিকে। বাহাউদ্দীন গোলাপের কক্ষটিতে পরিবহন পুলের কক্ষ করার জন্য তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান হিসেবে ট্রান্সফারও করা হয়েছে গত ২২ ডিসেম্বর রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে। এর পর বাহাউদ্দীন গোলাপ শারীরিক অসুস্থতার কারন দেখিয়ে চারদিনের ছুটির আবেদন করে ছুটিতে যান।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তাদের একটি অংশের অভিযোগ, বাহাউদ্দীন গোলাপকে কক্ষ থেকে বিতাড়িত করতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারারের অফিস বরাদ্দ দিতে বিলম্ব করা হচ্ছে একটি পক্ষের ইন্ধনে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা দপ্তরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পরিকল্পনা দপ্তরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমানের কক্ষটি খালি পড়ে রয়েছে সেখানে পরিবহন পুলের অফিস স্থানান্তর করলে খুব দ্রুত ট্রেজারারের রুম বরাদ্দ নিয়ে জটিলতা সমাধান করা যায়। কিন্তু একটি পক্ষ সেটি চাচ্ছে না এতে বিলম্ব হচ্ছে। উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার দু’জনই ঢাকাতে অবস্থান করায় অফিসের কাজে বিলম্ব হচ্ছে।

উপ-উপাচার্যকে ট্রেজারার অফিসের কাজ করার দায়িত্ব উপাচার্য দিয়েছেন বলে জানা গেছে। যেখানে অফিস করা হবে সেই কক্ষের চাবি বুঝিয়ে না দেওয়ায় উপ-উপাচার্য রুমেরনকাজ করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার দপ্তরের এক কর্মকর্তা। একারণেই ট্রেজারারকে বাধ্য হয়েই উপ-উপাচার্যের কক্ষে অফিস করতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, কমার্স ফ্যাক্টাল্টির ল্যাব রুমটি পরিবহন অফিসে স্থানান্তর করে ঐখানে ট্রেজারার বা উপ-উপাচার্যের অফিস করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরিবহন দপ্তরের অফিসটি স্থানান্তর হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার বাহাউদ্দীন গোলাপের রুমে। কিন্তু বাহাউদ্দীন গোলাপ অসুস্থ থাকায় ঐ রুমের চাবি আমরা পাচ্ছি না। এতে করে ট্রেজারারের কক্ষ বরাদ্দে বিলম্ব হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড. মো. মামুন অর রশিদ বলেন, বিগতদিনে বড় তিনটি পদের উপাচার্য, ট্রেজারার এই দুটিপদ ছিল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কিন্তু এখন তিনটি পদেই নিয়োগ হয়েছে এজন্য রুম বরাদ্দে বিলম্ব হয়েছে৷ এছাড়া উপাচার্য ক্যাম্পাসে নাই৷ আশা করি দ্রুত সমাধান হবে৷

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী বলেন, আমরা দু’জনে একসাথে অফিস করছি ট্রেজারারের অফিস ঠিক করার কথা থাকলেও সেটি করা হয়নি। তিনি এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের সাথে কথা বলার জন্য বলেন। এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.