ডেস্ক রিপোর্ট: ফেসবুকে পরিচয়, এরপর প্রেম। অবশেষে এই প্রেমের সম্পর্কের টানে পাকিস্তানের লাহোর থেকে খাগড়াছড়িতে ছুটে এসেছেন আলিম উদ্দিন নামে এক যুবক। তিনি মাটিরাঙ্গার বেলছড়ি ইউনিয়নের তাহমিনা আক্তার বৃষ্টির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।
তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি বেলছড়ি ইউনিয়নের উত্তর পাড়ার বাসিন্দা এবং খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা শাখার তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। অপরদিকে আলিম উদ্দিন পাকিস্তানের লাহোর সিটির বাসিন্দা এবং একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন।
জানা গেছে, গত ৮ মাস ধরে ফেসবুকে তাদের মধ্যে পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্কের ভিত্তিতে আলিম উদ্দিন ১১ ডিসেম্বর পাকিস্তান থেকে চট্টগ্রাম হয়ে বেলছড়ি গ্রামে আসেন। উভয়ের সম্মতিতে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
তাহমিনার বাবা আবুল হোসেন জানান, ১৯ ডিসেম্বর খাগড়াছড়িতে কোর্ট ম্যারেজের মাধ্যমে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। পরে ২২ ডিসেম্বর বেলছড়ি গ্রামে সামাজিক রীতিনীতি অনুযায়ী তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হয়।
তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ে ও জামাই সুখী হোক, এটাই আমার দোয়া। বর্তমানে পাসপোর্ট ও ভিসার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ততদিন তারা আমাদের সঙ্গেই থাকবে।’
পাকিস্তানি যুবক আলিম উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের সম্পর্কের বিষয়টি আমার পরিবার জানে এবং তারা সম্মত হয়েছে। আমি অল্প কিছু বাংলা বলতে ও বুঝতে পারি, যা তাহমিনা আমাকে শিখিয়েছে।’
তাহমিনার পরিবার ও স্থানীয়দের পক্ষ থেকে নবদম্পতিকে স্বাগত জানানো হয়েছে। পাসপোর্ট ও ভিসার আনুষ্ঠানিকতা শেষে তারা পাকিস্তানে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
এদিকে, এই প্রেমের গল্প এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে।