চবি প্রতিনিধি: জুলাই অভ্যুত্থান ও ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী আন্দোলনের সহযোদ্ধা ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র শিহান, ভাষানটেক সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সুজানা, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ছাত্র সীমান্তের হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের(চবি) শিক্ষার্থীরা।
আজ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় তারা “আমার ভাইয়ের উপর হামলা কেন- প্রশান জবাব চাই, আমার ভাই গুম কেন- প্রশাসন জবাব চাই, সীমান্ত গুম কেন- প্রশাসন জবাব চাই, আমার বোন গুম কেন- প্রশাসন জবাব চাই , ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দাও,রুখে দাও ; দিল্লি না ঢাকা- ঢাকা ঢাকা, রক্তের বন্যায়- ভেসে যাবে অন্যায়; আপোস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম ; গোলামী না আজাদী,আজাদি আজাদী ” প্রভৃতি স্লোগান দেন তারা।
এ সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, আমরা দেখছি কিছুদিন যাবত জুলাই বিপ্লবের সহযোদ্ধাদের কোন না কোন প্রাণ ঝরছে। প্রতিদিন আমরা রক্ত দেখছি, আমরা আর রক্ত দেখতে চাই না। প্রতিনিয়ত আমরা আমাদের কোন না কোন ভাইকে হারাচ্ছি কিন্তু বাংলাদেশের প্রশাসন পদক্ষেপ না নিয়ে ঘুমিয়ে আছে। আমিও এখন আতঙ্কে আছি কখন না আমারও প্রাণ ঝরে যায়। যারা মানুষ হত্যা করে যারা আমাদের ভাইকে হত্যা করে তারা আমাদের কেউ না। চিরুনি অভিযান চালিয়ে আমাদের ভাইদের উপর হামলাকারীদের আটক করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
অন্তবর্তিকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বিপ্লবীদের যদি নিরাপত্তা দিতে না পারেন আপনারা দায়িত্ব ছেড়ে দেন। যদি মনে করেন বাংলাদেশের মানুষ।
চবির সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ খালেদ বলেন, বিপ্লবীদের নিরাপত্তা দিতে না পারা বর্তমান প্রশাসনের সবচেয়ে বড় ব্যার্থতা। যাদের নিহত করা হয়েছে তাদেরকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিচার করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও ফ্যাসিবাদিদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এ দেশ আমাদের রক্ত দিয়ে কেনা। এই রক্তের মাধ্যমেই আমরা আমাদের দেশকে রক্ষা করব। যদি সন্ত্রাসীদের বিচার করতে না পারেন তাহলে আপনারা আপনাদের দায়িত্ব ছেড়ে দেন। কিভাবে দেশ চালাতে হয় ছাত্ররা খুব ভালোভাবেই জানে।