গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জনপ্রশাসনে বঞ্চিত ৭৬৪ সাবেক কর্মকর্তাকে পদ-পদবি ও আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে।
আজ রবিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবের দফতরের সামনে অবস্থান নেন বঞ্চিত কর্মকর্তারা। এ সময় তারা বারান্দার মেঝেতে বসে পড়েন। একজনকে শুয়ে থাকতেও দেখা যায়। কর্মকর্তারা বলেন, বঞ্চনা নিরসনে আজকের (রবিবার) মধ্যে প্রজ্ঞাপন না হলে তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ছাড়বেন না।
পরে জ্যেষ্ঠ সচিব যখন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখনও তার কার্যালয়ের সামনে বারান্দায় বেশ কিছুসংখ্যক বঞ্চিত কর্মকর্তা দাবি আদায়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন।
উপসচিব থেকে সচিব পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরে এসব কর্মকর্তাকে ‘ভূতাপেক্ষ’ পদোন্নতির জন্য সম্প্রতি সুপারিশ করেছিল অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত এ সংক্রান্ত একটি কমিটি।
বঞ্চনা নিরসন কমিটির সুপারিশ ও সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে জ্যেষ্ঠ সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান আজ বলেন, ‘চাকরি যারা করেন, তারা জানেন, ন্যূনতম একটি প্রক্রিয়ার ব্যাপার আছে। এ বিষয়ে ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের একটি নির্দেশনা লাগবে। তবে ইতিবাচক। চাকরির কিছু বিধিবিধান আছে। এটি মানতে হবে। এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।’
তবে সংক্ষিপ্ত সময়ে এ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘এটি ঠিক পদোন্নতি না। এটি হলো সামাজিক মান–মর্যাদা। আর্থিক সুবিধা ও পদ-পদবি দিয়ে একটি সরকারি আদেশ জারি হবে। এর ভিত্তিতে অর্থনৈতিক আদেশে তারা এই টাকা পাবেন। সরকার নীতিগতভাবে একমত। একটু সময়ের ব্যাপার।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিষয়টি ব্যাখ্যা করে জ্যেষ্ঠ সচিব বলেন, ‘পদে বসানো এক বিষয় আর পদমর্যাদা এক বিষয়। এটি হলো ওই পদে মর্যাদা দিয়ে সরকারি আদেশ দেওয়া হবে। হিসাবটি করবে এজি অফিস। তাদের বিজ্ঞানসম্মত নিয়ম আছে। পেনশনের ক্ষেত্রেও এই সুবিধা হবে।’