ডেস্ক রিপোর্ট: প্রতিদিনই একটু একটু করে কমছে চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা। এক দিনের ব্যবধানে এক ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হ্রাস পেয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। একই সঙ্গে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮.৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৫ শতাংশ।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে ঠাণ্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। ছিন্নমূল আর নিম্নআয়ের মানুষগুলো শীতে বেশি কষ্ট পাচ্ছে। ঠাণ্ডার কারণে রাস্তায় মানুষের উপস্থিতি তুলনামূলক কম। শীত নিবারণের জন্য মানুষ কয়েকটি গরম কাপড় পরিধান করছে। তারপরও শীত থেকে রক্ষা পাওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
গত ১০ ডিসেম্বর এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরদিন ১১ ডিসেম্বর তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিনের ব্যবধানে ১২ ডিসেম্বর তাপমাত্রা কমে দাঁড়ায় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর ১৩ ডিসেম্বর তাপমাত্রার পারদ আরও নিচে নেমে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। পরে তা আরও কমে শনিবার তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রিতে।
সকাল ১০টার দিকে ঘনকুয়াশা কেটে সূর্য উঁকি দিলেও নেই তাতে উত্তাপ। হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। শৈত্যপ্রবাহ জনজীবন কাবু হয়ে পড়েছে, আর নিম্ন আয়ের মানুষদের দুর্ভোগের অন্ত নেই। শীতার্তদের অনেককে খড়কুটো জ্বালিয়ে কোনোভাবে উত্তাপ নেওয়ার চেষ্টা করতে দেখা গেছে।
সকালে শহরের রাস্তায় মানুষের আনাগোনা কম থাকায় ভ্যান ও রিকশা চালকরা পর্যাপ্ত যাত্রী পাচ্ছেন না। শীতর কারণে দিনমজুর, শ্রমিকদের কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। তীব্র ঠান্ডায় মাঠে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর সকাল ৯ টায় তাপমাত্রা আরও কমে রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি চুয়াডাঙ্গা জেলার চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। আগামী দু-একদিন তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে।