খুবি প্রতিনিধি : খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ রয়েছে। তবে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ভবন রাজনীতি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে নামকরণ করা হয়েছিল। ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় শিক্ষক শিক্ষার্থীদের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি ভবনের রাজনীতি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নাম পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সম্প্রতি অধ্যাপক ড. এটিএম জহিরউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে, রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব নাম সম্বলিত হল ও ভবনসমূহের নতুন নাম প্রস্তাবের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল, নবনির্মিত জয়বাংলা ভবন ও সুলতানা কামাল জিমনেশিয়াম, শহিদ তাজউদ্দীন আহমেদ প্রশাসনিক ভবন ও শহিদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম ভবনের নতুন নাম আহ্বান করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুন্না হোসেন জানান, রাজনীতিমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাসিবাদী আমলে বিভিন্নভাবে রাজনীতিকরণ করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী সরকার হটিয়েছি। তাই সব ফ্যাসিবাদী কাঠামো উপড়ে ফেলতেও আমরা প্রস্তুত। রাজনীতি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে ভবনের নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়ায় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. এস. এম. মাহবুবুর রহমান জানান, গত ১৬ বছর ধরে দেশের রাজনীতিতে ফ্যাসিবাদী ধারা প্রভাব বিস্তার করেছিল এবং এর ছায়া বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়েছিল। ঐ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর নামকরণ করা হয়েছিল একটি নির্দিষ্ট পরিবারের সদস্যদের নামে। সেগুলো সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নতুন নামের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। দ্রুত এই নামগুলো পর্যালোচনা করে ভবনগুলোর নতুন নামকরণ করা হবে।