ডেস্ক রিপোর্ট: পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভারতের সঙ্গে বিদ্যুৎ নিয়ে চুক্তিগুলো বাতিল করে দেওয়া অত সহজ নয়। চুক্তিগুলো থেকে বের হয়ে আসাও অনেক ব্যয়বহুল।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকায়দ্বিতীয় ‘বাংলাদেশ জ্বালানি সমৃদ্ধি-২০৫০’- শীর্ষক সম্মেলনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, এ ধরনের চুক্তি বাতিল করাটা খুবই ব্যয়বহুল হতে পারে।
রিজওয়ানা বলেন, চুক্তি বাতিল করা সহজ নয়। নাইকো চুক্তি বাতিল করতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যেতে হয়েছে। তবুও অন্তর্বর্তী সরকার চ্যালেঞ্জটা নিয়েছে। এখন বিদ্যুৎ চুক্তিগুলো পর্যালোচনার মধ্যে আছে।
সম্মেলনে অন্যান্য বক্তাদের কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, অনেকে বিগত সরকারের আমলে করা বিতর্কিত বিদ্যুৎ চুক্তিগুলোর বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, বাস্তবায়নের পরেও সরকারকে এখনও অনেক প্রকল্পের ঋণের বোঝা বহন করতে হচ্ছে। যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়ে গেছে, সেগুলোর ঋণের বোঝাও টানতে হচ্ছে। বসিয়ে বসিয়ে টাকা দিতে হচ্ছে। আবার একই সময়ে জ্বালানি রূপান্তরেরও একটা চাপ আছে। যে ধরনের অসম চুক্তি হয়েছে, অস্বাভাবিক খরচে করা হয়েছে, তার দায় বহন করতে হচ্ছে। ড্যামেজ কন্ট্রোল করতেই সরকারের অনেকটা সময় লেগে যাচ্ছে।
সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ঢাকায় আবাসিক ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল আছে। এটা কাজ করে কি না, তার তদারকি নেই।
বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা জমি নিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা জমিটা মূল মালিকদের ফিরিয়ে দেওয়ার সুযোগ আইনে নেই। তবে অধিগ্রহণ করা অব্যবহৃত জমি নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন অথবা বনায়ন করে কাজে লাগানো যেতে পারে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফওজুল কবির খান। তিনি আরও বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ৪০টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। শুরুতে ১০টির জন্য দরপত্র ডাকা হচ্ছে। ধাপে ধাপে বাকিগুলোর দরপত্র আহ্বান করা হবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সমন্বিত মহাপরিকল্পনা নতুন করে তৈরি হবে। এ ছাড়া দেশে সৌরবিদ্যুৎ যন্ত্রপাতি তৈরির কারখানা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।