রাবিপ্রবি প্রতিনিধি: রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের আয়োজনে এবং রাবিপ্রবি আইকিউএসি এর সার্বিক সহযোগিতায় “আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস – ২০২৪” পালিত হয়েছে।
এবছরের আন্তর্জাতিক পর্বত দিবসের মূল প্রতিপাদ্য “Mountain solutions for a sustainable future – innovation, adaptation and youth”.
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দিবসটি উপলক্ষে শুরুতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-১ থেকে সকাল ১১:০০ ঘটিকায় এক র্যালীর আয়োজন করা হয়। র্যালীটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে একাডেমিক ভবনের-১ এর সামনে এসে শেষ হয়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাবিপ্রবি’র আর্থিক,প্রশাসনিক ও একাডেমিক দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক ড. নিখিল চাকমা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাবিপ্রবির সায়েন্স,ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদের ডীন জনাব ধীমান শর্মা ও ব্যাবসায় প্রশাসন অনুষদের ডীন জনাব সূচনা আখতার, কী নোট স্পীকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব খোকনেশ্বর ত্রিপুরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. নিখিল চাকমা বলেন, মানুষের অপরিকল্পিত গাছপালা ধ্বংসের কারণে প্রকৃতি তার রূপ হারিয়ে ফেলছে। প্রতিদিন নানা কাজে ব্যবহারের জন্য আমরা যে পানি ব্যবহার করি তা একমাত্র উৎস হচ্ছে পাহাড়। পাহাড় না থাকলে পানি থাকবেনা। তাছাড়া আমরা যে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ব্যবহার করি সেগুলোও বন, পাহাড় থেকে উৎপত্তি। এজন্য আমাদের এ পাহাড়কে রক্ষা করার জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে।
এছাড়াও অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সুপ্রিয় চাকমা, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) জনাব সপ্তর্ষি চাকমা, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান জনাব আসিফা নার্গিস বক্তব্য প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে মডারেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক জনাব মোসা: হাবিবা। সেমিনারে রাবিপ্রবি’র বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক,কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, পর্বতকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার কৌশল হিসেবে সারা বিশ্বে পর্বত দিবস পালন করা হয়। পার্বত্য এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়ন এবং টেকসই ভবিষ্যৎ সামনে রেখে জাতিসংঘ ২০০৩ সালে ১১ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস ঘোষণা করে। সেই থেকে প্রতিবছর বিভিন্ন দেশে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।