The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪

কেউ দাসখত দেয়নি যে জামদানি এভাবে পরা যাবে না : জয়া

বিনোদন ডেস্ক: মুম্বাইয়ে রবিবার অনুষ্ঠিত হয় ফিল্মফেয়ার ওটিটি অ্যাওয়ার্ডসের পঞ্চম আসর। আয়োজনে সিরিজ, সিনেমা ও ক্রটিকস- এই তিন ক্যাটেগরিতে ৩৯টি পুরস্কার পান তারকারা। বলিউড ও টালিউডের তারকাদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে ছিলেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী জয়া আহসান। ‘ফিল্মফেয়ার ওটিটি অ্যাওয়ার্ড-২০২৪’-এ তিনি পেয়েছেন বিশেষ পুরস্কারও।

ঢাকার ঐতিহ্যবাহী জামদানি পরে ভারতের মঞ্চে উঠেছন জয়া আহসান। জামদানিকে ব্যতিক্রম নকশায় গায়ে চড়িয়েছেন এই অভিনেত্রী।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফিল্মফেয়ার ওটিটি অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ এর কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেন এই তারকা। সেই ছবি ঘিরে আলোচনা এখন তুঙ্গে। কারণ, জয়ার পরনে যে শাড়িটি রয়েছে, তার নকশা ও শাড়ি পরার ধরনটি একটু আলাদা।

এদিকে জামদানির ব্যাতিক্রম সাজে জয়াকে ভালোভাবে নেননি নেটিজেনদের অনেকে। এবার এ নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী।

সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, হ্যাঁ আমি দেখেছি অনেকে এটা নিয়ে কথা বলছেন। আমরা আমাদের ঐতিহ্যবাহী খাবার যদি ফিউশন করে খেতে পারি, যেমন পিঠা বা মাছ তো আমরা ফিউশন করে খাই। তাহলে আমাদের দেশের কস্টিউম কেন ফিউশন করে পরতে পারব না? কেউ তো দাসখত দেয়নি যে, জামদানি এভাবে পরা যাবে না, ওভাবে পরা যাবে না। জামদানি যদি স্কার্ট হয়, জ্যাকেট হয় তাহলে এভাবে পরলে সমস্যা কোথায়।

জয়া বলেন, আমরা যত ফিউশন করবো ততো বাইরের দেশের কাছে উপস্থাপন করতে পারবো। এটার চাহিদা অনেক বেড়ে যাবে। এসব ভেবেই আমি জামদানির এই ফিউশন করেছি। দেখুন, কয়েক বছর আগেও জামদানির এতটা চাহিদা ছিল না। কিন্তু এখন জামদানির এত চাহিদা যে, মনে হয় এটা শুধু একটি শাড়ি নয়, এটা অলঙ্কারের মতো। একটা মেয়ে চায়, তার ঘরে একটা সুন্দর, দামি জামদানি থাকুক।

অভিনেত্রী আরও বলেন, এটাই প্রথম নয়, আমি যতটুকু পারি জামদানি, মসলিন পরার চেষ্টা করি। এই লুকটারও একটা বিষয় ছিল। পুরানে যেসব মেয়েরা যুদ্ধ করতো, তাদের যে লুক সেই লুকেই আমি সেজেছিলাম এবং সেটা ইচ্ছে করেই। এমনকি পরিচালক সুজয় ঘোষও আমার লুকের প্রশংসা করেছিলেন।

ফিল্মফেয়ারের এবারের আসরে উপস্থিত ছিলেন কারিনা কাপুর, অভিষেক বচ্চন, বিজয় ভার্মা, মনীষা কৈরালা, সোনাক্ষী সিনহাসহ অনেকেই। তাদের মধ্যে স্বমহিমায় ছিলেন জয়া। সঞ্চালকও মঞ্চে ডেকে নিয়েছিলেন তাকে। সম্বোধন করেছেন ‘ফাইন অ্যাকট্রেস অব বেঙ্গল’ বলে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.