The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বুধবার, ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪

আমি ২৮ বিয়ে করেছি তদন্ত করে প্রমাণ করুন : অভিনেত্রী স্বর্ণা

ডেস্ক রিপোর্ট: ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন অভিনেত্রী রোমানা স্বর্ণা। একইসঙ্গে গ্রেফতার করা হয়, রোমানা স্বর্ণার মা আশরাফুল ইসলাম শেইলি (৬০) ও ছেলে আন্নাফিকে (২০)। রোমানা বিয়ের প্রলোভন দিয়ে প্রতারণা করে প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে মামলা করেন রোমানা স্বর্ণার দ্বিতীয় স্বামী কামরুল ইসলাম জুয়েল। এরপর বাদী নিরুদ্দেশ হয়ে যান শোনা যায়।

এই মামলা নিয়ে নানা রকম ঘটনা ঘটেছিল। সেসময় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, একটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন রোমানা ইসলাম স্বর্ণা। সেটি পুঁজি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রবাসীদের সঙ্গে খাতির জমাতেন। কখনো স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স আবার সংসারের আর্থিক সংকটসহ নানা কারণ দেখিয়ে নিতেন টাকা। দেশে ফিরলে তাদের সঙ্গে দেখা করতেন। একান্তে সময় কাটিয়ে গোপনে ছবি তুলতেন। পরে সেই অন্তরঙ্গ ছবি দেখিয়ে করতেন বিয়ে। ভয় দেখিয়ে লিখে নিতেন জায়গা-জমিও। পুরো পরিবারের সবাই এ প্রতারণার সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন। সেই পরিবারটিকে খুঁজে পেয়েছে পুলিশ।

প্রতারিতদের দাবি, ২৮ জনের সঙ্গে এভাবে প্রতারণা করে বিয়ে করে রোমানা হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। পুলিশ বলছে, এই পরিবারের প্রতিটি সদস্য প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ কাজে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

তবে সোমবার অভিনেত্রী স্বর্ণা এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি চ্যালেঞ্জ করেছেন ২৮ বিয়ের বিষয়ে। এটাকে ডিবি হারুনের কারসাজি বলে উল্লেখ করেছেন। আজ ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে অভিনেত্রী রোমানা স্বর্ণা বলেন, আমি ২৮ টা বিয়ে করেছি, কোথায় আমার স্বামীরা। ডিবি হারুন তদন্ত করে এসব বলেছে, আমি এখনো চ্যালেঞ্জ করে বলছি আপনারা প্রমাণ করুন। র‍্যাব তদন্ত করে বের করুক কোথায় আছে আমার ২৮ টা বিয়ে। আমি পারসোনালি কোনো নেতাকে কাজে লাগাইনি, যদি সেটাই হতো তাহলে দুই একটি মন্ত্রী আমার পকেটেও থাকতো। কারণ আমি একজন সেলিব্রেটি ছিলাম।

মামলার বাদী জুয়েল সম্পর্কে বলেন, জুয়েল কিন্তু কোনো সাংগঠনিক কোনো আওয়ামী লীগের নেতা ছিল না, তাহলে কেন তার এতো পাওয়ার ছিল? টাকার ব্যাপার ছিল, মেয়েবাজির ব্যাপার ছিল। ওদেরকে মেয়ে সাপ্লাই দেওয়া থেকে শুরু করে সবকিছুই করতো। তবে টাকার ব্যাপারটা বেশি ছিল। আমি নিজের চোখে দেখেছি ওদের টাকা জুয়েল কিভাবে পাচার করতো।

রোমানা স্বর্ণার ওই মামলা পরে বাতিল হয়ে যায় অজ্ঞাত কারণে, কেননা বাদী নাকি বিদেশ চলে গেছেন। এ বিষয়ে রোমানা স্বর্ণা বলেন, আমার বিরুদ্ধে মামলা করার তিন মাসের মধ্যে ওই মামলা ভ্যানিশ হয়ে যায়। বাদী নিজেই আদালতে গিয়ে এই মামলা ভ্যানিশ করে দেন। তিনি বলেন, পারিবারিক ভুল বোঝাবুঝির কারণে মামলা করেছিলাম এখন মামলা উইথড্র করলে সমস্যা নেই।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.