ডেস্ক রিপোর্ট: টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সাধারণত একটি দলে ৫–৬ জন বোলার থাকেন। তবে কখনো কখনো অলরাউন্ডার মিলিয়ে ৭–৮ জনও বোলিং করেন। কিন্তু একটি দলের ১১ জন খেলোয়াড়কেই বোলিং করানোর ঘটনা এর আগে কখনো ঘটেনি।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভারতের সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে মণিপুরের বিপক্ষে এমনই এক নজিরবিহীন ঘটনা ঘটিয়েছে দিল্লি। দলটির অধিনায়ক আয়ুশ বাদোনি দলের সব খেলোয়াড়কে দিয়ে বোলিং করিয়েছেন। আন্তর্জাতিক কিংবা স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি—এমন ঘটনা আগে কখনো দেখা যায়নি।
এর আগে ২০ ওভারের ম্যাচে সর্বোচ্চ ৯ জন বোলার ব্যবহারের ঘটনা বেশ কয়েকবার ঘটেছে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) এমন নজির রয়েছে চারবার। কিন্তু মণিপুরের বিপক্ষে দিল্লি এই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
দিল্লির অধিনায়ক আয়ুশ বাদোনি নিজেও উইকেটকিপার হয়েও ষষ্ঠ বোলার হিসেবে বল হাতে নেন এবং ২ ওভার বল করে একটি উইকেট শিকার করেন। দিল্লির ১১ বোলারের মধ্যে তিনজন ৩ ওভার করে, তিনজন ২ ওভার করে এবং বাকি পাঁচজন ১ ওভার করে বোলিং করেন।
অদল-বদলের এই কৌশল সত্ত্বেও মণিপুর ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১২০ রান তুলতে সক্ষম হয়। তবে দিল্লি ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ বল হাতে রেখেই ৪ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে।
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ১১ বোলার ব্যবহারের ঘটনা এবারই প্রথম। তবে টেস্ট ক্রিকেটে এমন ঘটনা চারবার দেখা গেছে। ২০০২ সালে অ্যান্টিগায় ভারতের অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী এবং ২০০৫ সালে একই মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ ১১ জন খেলোয়াড়কে দিয়ে বোলিং করিয়েছিলেন।
ওয়ানডে এবং আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এখনো কোনো দল ৯ জনের বেশি বোলার ব্যবহার করেনি। তবে দিল্লির এই উদ্ভাবনী সিদ্ধান্ত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।