ডেস্ক রিপোর্ট: যশোর জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ১১৪ সদস্যের গঠিত এই কমিটি আগামী ছয় মাসের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেলের স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই কমিটি গঠনের বিষয়টি জানানো হয়।
রাশেদ খানকে আহ্বায়ক ও জেসিনা মুর্শিদ প্রাপ্তিকে সদস্যসচিবকে করে গঠিত কমিটিতে মুখ্য সংগঠক হিসেবে আছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন (লিখন) এবং মুখপাত্র হয়েছেন ফাহিম আল ফাত্তাহ।
এ ছাড়া কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে রাখা হয়েছে ১১ জনকে এবং যুগ্ম সদস্যসচিব আছেন ১২ জন। সংগঠক পদে রয়েছেন আটজন। এ ছাড়াও কমিটিতে আরও ১২২ জন সদস্য রয়েছেন।
এর আগে ১২টি জেলায় আহ্বায়ক কমিটি করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গত ২ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলায় ১১১, নড়াইলে ৫১, ৩ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গায় ১০১, ১০ নভেম্বর সুনামগঞ্জে ৯৯, ১১ নভেম্বর নেত্রকোনায় ২৫৪, ১২ নভেম্বর মেহেরপুরে ৫১, ১৬ নভেম্বর ঝিনাইদহে ১০৩, ২১ নভেম্বর শেরপুরে ১২৬, ২২ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৬৪, জামালপুরে ১৩৬ ও কুমিল্লায় ২৯৫ এবং ২৪ নভেম্বর রংপুরে ১৫৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। প্রতিটি কমিটিই ছয় মাসের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়।
গত ১ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। একপর্যায়ে আন্দোলনটি সারা দেশে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। ছাত্র-জনতার সেই অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে।
আন্দোলন পরিচালনায় গত ৮ জুলাই ৬৫ সদস্যের সমন্বয়ক টিম গঠন করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পরে ৩ আগস্ট তা বাড়িয়ে ১৫৮ সদস্যের করা হয়। এরপর গত ২২ অক্টোবর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক টিম বিলুপ্ত করে চার সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।