The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
মঙ্গলবার, ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪

‘৭ নভেম্বরের ইতিহাস মুছে দিতে চেয়েছিল পতিত স্বৈরাচার’

ডেস্ক রিপোর্ট: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন অভিযোগ করে বলেছেন ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসকে মুছে দিতে চেয়েছিল পতিত স্বৈরাচার। তিনি বলেন, বিগত সরকার ৭ নভেম্বর বইয়ের পাতা থেকে মুছে দিতে চেয়েছিল।

সোমবার (৪ নভেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডা. জাহিদ এসব কথা বলেন। আগামী ৮ নভেম্বর ঢাকায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের র্যালির প্রস্তুতি উপলক্ষে ঢাকা মহানগর বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে এই যৌথসভা করেন ডা. জাহিদ হোসেন।

তিনি আরও বলেন, তারা ৭ নভেম্বরের ইতিহাস মুছতে পারেনি। কারণ, জনগণের ভালোবাসা ছিল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি।

বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার আন্দোলন ব্যর্থ হলে জিয়াউর রহমানের ফাঁসি হতো। বন্দি অবস্থায় তাকে সারা দেশের সিপাহী-জনতা মুক্ত করেছিল, কিন্তু আত্মসমর্পণ করেননি। তার হাতে দেশ পরিচলানার দায়িত্ব দিয়েছিলেন তারা।

তিনি বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিএনপির নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ করার জনস্রোত নেমেছিল। ’৭৫-এর ৭ নভেম্বরের মতো আবারও ৮ নভেম্বরের র‍্যালিকে আমরা জনস্রোতে পরিণত করব।

ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, আজকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। অন্তর্বর্তী সরকার যাতে দায়িত্ব পালন না করতে পারে, সেজন্য ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে নেই। তারা তাদের লুণ্ঠিত অর্থ ও বিভিন্ন অবৈধ অস্ত্র নিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে। বিভিন্ন নামে ও বেনামে ষড়যন্ত্র করে চলেছে।

তিনি জানান, নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র‍্যালি শুরু হয়ে ঢাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করবে। ঢাকার পাশের জেলা নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইল ও নরসিংদী জেলার নেতাকর্মীরাও কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে অংশ নিবেন। আর ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলা ও মহানগরী তাদের মতো করে র্যালি করবে।

যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, আব্দুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ও শ্রমিক দলের সমন্বয়কারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজুন, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন, উত্তরের সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল হক, বিএনপির আন্তর্জাতিক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, তাঁতি দলের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ, যুবদলের সাবেক সহসভাপতি এস এম জাহাঙ্গীরসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

বিএনপি অত্যন্ত শৃঙ্খলার সাথে এই র‍্যালির কর্মসূচি পালন করতে চায়। এজন্য যৌথসভায় নেতাকর্মীদের প্রতি কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়। র‍্যালির পোস্টার ও ব্যানারে বিএনপির শীর্ষ তিন নেতার বাইরে কারো ছবি ব্যবহার না করা, সবাইকে সুশৃঙ্খলভাবে র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করা। জাসাসের আয়োজনে ব্যান্ড পার্টির বাইরে কোনো ঢোল, হাতি ও ঘোড়ার ব্যবহার না করা ইত্যাদি।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.