The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

দ্বিতীয় দফায় ২২০ ছাত্রলীগ নেতার নামে মামলার আবেদন

১৫ জুলাই ঢাবিতে হামলা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় দ্বিতীয় দফায় ২২০ জনের নাম উল্লেখ করে শাহবাগ থানায় আরেকটি মামলার আবেদন করা হয়েছে। আবেদনে ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।

রোববার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আরমান হোসাইন এ আবেদন করেন। পরে শাহবাগ থানার সামনে একটি সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের, রিফাত রশীদ, হামজা মাহবুব, মোহাম্মদ মহিউদ্দীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মামলার আবেদনে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভির হাসান সৈকতের নাম প্রথমদিকে উল্লেখ করা হয়েছে। আবেদনে ২২ ছাত্রলীগ নেত্রীর নামও রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল কাদের বলেন, গত ২১ তারিখে আমরা একটি মামলার আবেদন করেছিলাম সেখানে যাদের নাম বাদ পড়েছে তাদের বিরুদ্ধে এবং যারা আন্দোলনের মূল উসকানিদাতা তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করে ২২০ জনের নামে আমরা আরেকটি মামলার আবেদন করেছি শাহবাগ থানায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আরমান হোসেন এ আবেদন করেছেন। আইনগত পদক্ষেপের ক্ষেত্রে আপনারা সবাই এগিয়ে আসবেন। আপনারা যে যেভাবে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মামলা দিন।

বাদী আরমান হোসেন বলেন, গত ১৫ জুলাই শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগ নির্মম হামলা এবং আঘাত করেছে, এটা সবাই প্রত্যক্ষ করেছেন। গত ২১ তারিখে একটি মামলা হয়েছে সেখানে কিছু আসামি বাদ পড়ে, কিছু মূলহোতা বাদ পড়ে। এছাড়া প্রত্যেক হলে হলে যারা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণে বাধা দিয়েছে তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মামলার এজাহারে ১৯৮ থেকে ২২০ নম্বরে উল্লিখিতদের বাধাদানকারী হিসেবে আসামি করা হয়েছে। এক সপ্তাহ সময় নিয়ে পর্যালোচনা করে নিজস্ব নিরীক্ষার ভিত্তিতে আসামিদেরকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রোববার শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর বলেন, একটা অভিযোগ আমরা পেয়েছি। অনেক আসামি থাকায় বিষয়টি যাচাই বাছাই চলছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.