The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
সোমবার, ২৮শে অক্টোবর, ২০২৪

শ্রমিক হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ঢাবিতে মশাল মিছিল

ঢাবি প্রতিনিধি: শ্রমিক হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি ) মশাল মিছিল করেছে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের সদস্যরা।

রোববার (২৭ আগস্ট ) সন্ধ্যা সাতটার দিকে এ মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে হল পাড়া হয়ে রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়।
এসময় আবু সাইদ, মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ, আমার ভাই মরলো কেনো জবাব চাই দিতে হবে ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

রাজু ভাস্কর্যে এসে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের সদস্যরা বলেন, সাভারে আমার ভাইদের ওপর পুলিশ গুলি চালিয়েছে। তারা তো কোনো অন্যায় করেনি। তারা তাদের বেতন, পাওয়ানাদি আদায়ের জন্য রাজপথে নেমেছিল। তাহলে কেনো তাদের ওপর গুলি চালানো হলো আমরা জানতে চাই। প্রশাসনকে এর জবাব দিতেই হবে।

বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল বলেন,তিনমাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে গত( ২৪ আগস্ট )গার্মেন্টস শ্রমিকদের আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ শ্রমিক চম্পা খাতুন আজ ঢাকা মেডিকেলে মৃত্যুবরণ করেছেন।

পুলিশের ভাষ্যমতে পুলিশ নাকি আন্দোলনরত শ্রমিকদের ভয় দেখাতে সাউন্ড গ্রেনেড আর টিয়ারশ্যাল নিক্ষেপ করেছিলো, গুলি করেনি।

গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বতীকালীন সরকার একেবারে পর এক শ্রমিক হত্যা করছে। যে শ্রমিকেরা জুলাই অভ্যুত্থানে বুক চিতিয়ে লড়াই করেছে, জীবন দিয়েছে আজ এই সরকার তাদের দাবিতে কর্ণপাত করছে না। একের পর এক গুলি চালিয়ে এই সরকার নিজেদেরকে প্রমাণ করছে এই সরকার শ্রমিক এবং মেহনতী মানুষের বিপক্ষের সরকার।

এই সরকারের শ্রম মন্ত্রণালয় কিংবা শিল্প মন্ত্রণালয় কি আদৌও গণঅভ্যুত্থানে শক্তির মানুষ পরিচালনা করছে নাকি আওয়ামী লীগের দোসর ব্যবসায়ী অলিগার্করা পরিচালনা করছে এই নিয়ে আমার প্রবল সংশয় রয়েছে। এই সরকারের সাথে বিভিন্ন বৈঠকে আমরা দেখি ‘২৪ এর ডামি ইলেকশনে এমপি হওয়া হামিম গ্রুপের মালিক এ,কে আজাদের উপস্থিতি। যেই এ,কে আজাদরা গত ১৫ বছর ধরে

“আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা” বলে বেড়াতো আজ তাদের পরামর্শেই কি শ্রমিকদের উপর আক্রমণ চালাচ্ছে এই সরকার? এ, কে আজাদের মতো লোকেরা কি এই সরকারের অংশ নাকি আওয়ামী লীগের দোসর সেটা পরিষ্কার করুন।

প্রসঙ্গত, গত (২৪ আগস্ট)সাভারে বেতন বকেয়া আদায়ের দাবিতে পুলিশ ও শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।পুলিশের গুলিতে আহত হন চম্পা খাতুন নামের একজন গার্মেন্টস শ্রমিক। চিকিৎসাদিন অবস্থায় আজ ঢাকা মেডিকেল কলেজে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.