ডেস্ক রিপোর্ট: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক মো. সারজিস আলম।
তিনি বলেছেন, ‘কেউ কল্পনাও করতে পারে নাই শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাবেন। তার পালিয়ে যাওয়ার থেকে লজ্জাজনক কিছু হতে পারে না। তিনি যাওয়ার সময় নেতাকর্মীদের নিয়েও যেতে পারেন নাই। শেখ হাসিনার শাসন আমলে নিজেকে সর্বশক্তিমান দাবি করাটাই বাকি ছিল। এ ছাড়া সব কিছুই দেশে হয়েছে।’
শুক্রবার (২৫ অক্টোর) দুপুর ১২টার দিকে মাদারীপুর পৌরসভার হলরুমে মাদারীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘গত ৫ আগস্টের পর গিরগিটির মতো ভুয়া সমন্বয়ক তৈরি হয়েছে।তাদের আলাদা করতে হবে। তাদের মধ্যে সুবিধাবাদী চরিত্রটা পূর্বেও ছিল, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। এদের আলাদা করা না হলে সমন্বয়কের নাম ভাঙিয়ে আমাদের ইমেজকে খেয়ে ফেলবে। দেশের অনেক জেলায় এমনটা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘১৬ বছরের অত্যাচার ১৬ মাসেও শেষ হবে না। শেখ হাসিনার সরকার যে অপকর্ম করেছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সেই জায়গাটা ভেঙে গেছে। এই সুবিধাবাদীরা ছাত্রদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা করছে, চক্রান্ত করছে। এ জন্য সবাইকে এক থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, ১৬ বছরের রেডি করা সেটআপ, অল্প কিছু মাথা পালাইছে, তাদের আসতে বেশি সময় লাগবে না।’
তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘ছাত্রদের মধ্যে কেউ যদি ভবিষ্যতে ফ্যাসিস্ট হওয়ার চিন্তা করেন কিংবা ক্ষমতার অপব্যবহার করার চেষ্টা করেন, তাদের বহিষ্কার করে আইনের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্ররা কেউ আলাদা হবেন না। সবাই একত্রে থাকবেন। তা না হলে পরিণতি খারাপের দিকে যাবে।’
সারজিস আলম আরো বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফরম শব্দটা ভবিষ্যতে কোনো পলিটিক্যাল প্ল্যাটফরম হবে না-এটা শতভাগ নিশ্চিত। কিন্তু এই প্ল্যাটফরমের যে মানুষগুলো তারা যদি ভবিষ্যতে রাজনীতি করতে চায়, অন্য কোনো নামে, অন্য কোনো ব্যানারে, নতুন করে কিছু একটা তৈরি করে, সেটা করার তো অবশ্যই রাজনৈতিক কিংবা গণতান্ত্রিক অধিকার তাদের আছে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে অভ্যুত্থান, প্রাথমিকভাবে জাস্ট একটা সফলতা এলো। এটার বিরুদ্ধে চক্রান্ত ডে-বাই-ডে বাড়তেছে।’
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়করাসহ মাদারীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।