The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪

এইচএসসির ফল পুনঃরায় মূল্যায়নের দাবিতে ঢাকা শিক্ষাবোর্ড ঘেরাও

ডেস্ক রিপোর্ট: চলতি বছরের প্রকাশিত এইচএসসির ফল বাতিল করে নতুন করে মূল্যায়নের দাবিতে ঢাকা শিক্ষাবোর্ড ঘেরাও করেছে একদল শিক্ষার্থী।

রোববার বেলা ১১টা থেকে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়। তাদের সঙ্গে অনেক নারী অভিভাবককে দেখা যায়। দুপুর পৌনে ২টার দিকে বোর্ডের প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলছেন, ইতোমধ্যে যে ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, তা বৈষম্যমূলক। এ জন্য এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সব বিষয়ের ওপর ‘ম্যাপিং’ করে ফলাফল নতুন করে প্রকাশ করতে হবে।

দুপুর সাড়ে ১২টার পর ‘এইচএসসি ব্যাচ ২০২৪’-এর ব্যানারে একদল শিক্ষার্থী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মিছিল নিয়ে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের উদ্দেশে রওনা দেন। বেলা ১টার দিকে মিছিলটি বোর্ডের ফটকের সামনে পৌঁছায়। তাদের মধ্যে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কৃতকার্য শিক্ষার্থীরাও ছিলেন। একপর্যায়ে ফটকের তালা ভেঙে শিক্ষার্থীরা বোর্ডের ভেতরে ঢুকে পড়েন।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, বোর্ডের ভেতরে তাদের ওপর হামলা হয়। এই হামলায় কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তারা এই হামলার বিচার চান।

অন্যদিকে বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, শিক্ষার্থীরা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কক্ষে, এমনকি কক্ষের সামনেও ভাঙচুর চালান। তারা চেয়ারম্যানের দপ্তরে গিয়ে দেখতে পান চেয়ার পড়ে আছে। কাগজপত্রসহ ফাইল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে মেঝেতে পড়ে আছে।

ঘটনাস্থলে থাকা চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা প্রথমে বোর্ডের ফটকে তালা লাগিয়ে দিয়েছিল। ভেতরে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছিল না। সেসময় গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নিয়ে বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভেতরে ঢুকতে চাইলেও তাদের যেতে দেওয়া হয়নি। তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কিছুটা ধাক্কাধাক্কি হয়েছে বলে শুনেছি।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা এখনো অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। শিক্ষার্থীরা প্রতিনিধিদল ঠিক করে দিলে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে।

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে এই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এখানে কেউ বঞ্চিত বা বৈষম্যের শিকার হওয়ার প্রশ্নই আসে না। তারপরও শিক্ষার্থীরা কি বলতে চায়, তাদের কথা শুনবো। সেগুলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আমরা অবগত করবো।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.