The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

আন্দোলনের মুখে ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যানের পদত্যাগ ঘোষণা

সব বিষয় ম্যাপিং করে বৈষম্যহীনভাবে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের দাবিতে এক দল শিক্ষার্থীর করা বিক্ষোভ-অবরোধের মুখে পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।

রোববার (২০ অক্টোবর) রাতে এ কথা জানান তিনি। সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন তিনি। এসময় শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলেও জানান তপন কুমার সরকার।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা আমার পদত্যাগ চেয়েছে। আমি পদত্যাগ করলে যদি তারা আন্দোলন স্থগিত করে তাহলে আমি পদত্যাগই করব। আগামীকাল (সোমবার) আমার পদত্যাগপত্র জমা দেব।

এদিকে, রাত ৯টা পর্যন্ত এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল করা শিক্ষার্থীদের ঢাকা বোর্ডের ভেতরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সেখান থেকে যাবেন না বলে জানান। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার নিচে এসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সামনে সরকার তথা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অবস্থান তুলে ধরেন।

শিক্ষার্থীদের আজকের মতো বাসায় চলে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তখন তিনি বলেন, তোমরা আন্দোলন করেছ, দাবি জানিয়েছ। বিষয়টি নিয়ে সরকার আলোচনা করে ব্যবস্থা নেবে। তোমাদের ওপর আজ যারা এখানে হামলা চালিয়েছে বা মারধর করেছে, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে বোর্ড চেয়ারম্যানের বক্তব্য শেষ না হতেই ‘ভুয়া, ভুয়া’ এবং ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’ স্লোগান দিতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি রাতেই ফল বাতিলের ঘোষণা দিতে হবে। সবাইকে অটো পাস দিতে হবে। তা না হলে তারা সেখান থেকে বের হবেন না।

তারও আগে বেলা ১১টার দিকে মিছিল নিয়ে শিক্ষা বোর্ডের সামনে জড়ো হন এইচএসসিতে ফেল করা শিক্ষার্থীরা। পরে তারা বোর্ডের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। দুপুর পৌনে ২টার দিকে তারা তালা ভেঙে বোর্ডের ভেতরে প্রবেশ করে চেয়ারম্যানের কক্ষে চলে যান। সেখানে ভাঙচুরও চালানোর অভিযোগ পাওয়া যায়।

সেসময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন ছাত্রীসহ ১১ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে পাঁচ জনের নাম-পরিচয় জানা গেছে। এ হামলায় বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়িত বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। তারা একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থারও দাবি জানান।

অন্যদিকে, সেনাবাহিনীর সদস্য ও পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়েছে। তারা শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করার অনুরোধ করছেন। একইসঙ্গে রাতে সেখানে না থেকে বাসায় চলে যাওয়ার অনুরোধ করতেও দেখা যায় তাদের। তবে শিক্ষার্থীরা কারও কথা শুনতে নারাজ। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করবেন বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন।

গত ১৫ অক্টোবর চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ফলাফলের তথ্যানুযায়ী– এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ করেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন শিক্ষার্থী। পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৮ জন। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাস করেন ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৯ জন। তাদের মধ্যে সারা দেশে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.