ডেস্ক রিপোর্ট: গাইবান্ধায় দ্বিতীয় বিয়ে করতে যাওয়ার পথে শফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির ওপর হামলা করেছে প্রথম স্ত্রী পারভীন খাতুনসহ তার স্বজনরা। মাইক্রোবাস থেকে বরযাত্রীদের নামিয়ে এই হামলা করা হয় বলে অভিযোগ শফিকুল ইসলাম ও তার স্বজনদের। এ সময় লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয় শফিকুলসহ তার সঙ্গে থাকা ৩ যাত্রীকে।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের রসুলপুর (ফকিরপাড়া) গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
আহত বর শফিকুল ইসলাম (৩০) উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে একই ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম পাশার মেয়ে পারভীন খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। বিয়েতে দেনমোহর ধার্য করা হয় ৪ লাখ টাকা।
শফিকুল ইসলাম ও তার স্বজনরা জানান, তিন মাস আগে স্ত্রী পারভীনকে তালাক দেওয়া হয়। শুক্রবার বিকেলে দ্বিতীয় বিয়ে করতে মাইক্রোবাসে করে কনের বাড়ি পাতিল্যাকুড়া-চকদাড়িয়া (উত্তরপাড়া) গ্রামে যাওয়ার পথে তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
তাদের অভিযোগ, তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী পারভীন খাতুন ও তার পরিবারের লোকজন তাদের মাইক্রোবাস থামায়। পরে তাদের নামিয়ে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে আহত করা হয়।
তবে প্রথম স্ত্রী পারভীন খাতুনের দাবি, শফিকুল তাকে বিয়ে করে আড়াই বছর সংসার করার পর তালাক দেন। এই তালাকের প্রায় তিন মাস পার হলেও এখনো দেনমোহরের টাকা বুঝিয়ে দেয়নি। এই টাকা না দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করতে যাওয়ার পথে তাকে পথরোধ করা হয়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য ছাপের আলী বলেন, সাবেক স্ত্রী পারভীন তার দেনমোহরের দাবিতে শফিকুলকে পথরোধ করেন। ঘটনাটি থানা পুলিশকে অবগত করা হলে তাৎক্ষণিক পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।