মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশি এক জেলে নিহত ও ৫৮ জেলেকে অপহরণের ঘটনায় দেশটির সরকারের কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ তথ্য জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের প্রতিবাদ নোটে বলা হয়েছে, মায়ানমার নৌবাহিনী কক্সবাজারের কোনা পাড়া, শাহ পরী দ্বীপ, টেকনাফ উপজেলায় বসবাসকারী বাংলাদেশী মৎস্যজীবী উসমান (৬০) হত্যার ঘটনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমার সরকারের কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছে। ঢাকায় মিয়ানমারের দূতাবাসে পাঠানো একটি কূটনৈতিক নোটে বলা হয়েছে- বাংলাদেশ এই মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
নোটে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার মিয়ানমারকে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি রোধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানায়। মিয়ানমারকে বাংলাদেশের ভূখণ্ডের জলসীমার অখণ্ডতার প্রতি পূর্ণ সম্মান জানানো এবং পরবর্তীতে অন্য কোনো উসকানি থেকে বিরত থাকার জন্য দেশটিকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পেইজের আরও জানানো হয়, নিহত উসমান ও অন্য জেলেরা বাংলাদেশের টেকনাফ উপজেলার সেন্ট মার্টিন ইউনিয়নের কাছে মাছ ধরছিল। তখন মিয়ানমার নৌবাহিনী ৫৮ জন বাংলাদেশি জেলে এবং ছয়টি মাছ ধরার নৌকা অপহরণ করে। বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও মিয়ানমার নৌবাহিনীর মধ্যে যোগাযোগের পর গতকাল দুই দফায় নৌকাসহ জেলেদের ছেড়ে দেয় মিয়ানমার।
গত বুধবার সেন্টমার্টিনের অদূরে বঙ্গোপসাগর থেকে বাংলাদেশি ৬টি মাছ ধরার ট্রলারসহ ৫৮ জেলেকে মিয়ানমার নৌবাহিনী ধরে নিয়ে যায়। এ সময় দেশটির নৌবাহিনী বাংলাদেশি ট্রলারে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে ট্রলারের থাকা জেলে মো. ওসমান গনি নিহত হন। এবং আরও দুই জেলে মো. রাজু ও মো. রফিক গুলিবিদ্ধ হয়।
এ ঘটনার পরে বৃহস্পতিবার মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে নিহত জেলের লাশসহ ১১ জনকে দুপুরের দিকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের নিকট হস্তান্তর করে। বাকি ৪৭ জনকে রেখে দেওয়ার পরে একই দিন সন্ধ্যায় তাদের মুক্তি দেয়।