স্পোর্টস ডেস্ক: বিসিবিপ্রধানের চেয়ারে বসেই প্রধান কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহকে বিদায় করার ঘোষণা দিয়েছেন ফারুক আহমেদ। তার এমন ঘোষণার পর এখন আলোচনা চলছে কে হবেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান কোচ? সেই তালিকায় অনেকে দেশি কোচ নিয়োগের কথাও বললেও এ ব্যাপারে একেবারেই সায় নেই সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের। তার মতে, প্রধান কোচ হওয়ার যোগ্যতা আছে এমন কেউ এখন দেশে নেই।
এর আগে বিভিন্ন সময় আপদকালীন কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। তাছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটে পরীক্ষিত কোচ সালাহউদ্দিনকেও অনেকে জাতীয় দলের কোচ করার পক্ষে। এর বাইরেও অনেকেই লম্বা সময় ধরে খণ্ডকালিন ভূমিকায় জাতীয় দলকে সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছেন। তবে তাদের কাউকেই সেই অর্থে জাতীয় দলের জন্য যোগ্যতা সম্পন্ন মনে হয় না তামিমের।
এদিকে লম্বা সময় ধরেই ভারত দেশিয় কোচের ওপর নির্ভর করছে। পাকিস্তানেও প্রায়শই দেখা যায় সাবেক ক্রিকেটারদের প্রধান কোচের চেয়ারে বসাতে। সবশেষ শ্রীলংকা তাদের দলের দায়িত্ব দিয়েছে সনাথ জয়সুরিয়ার ওপর। এই অবস্থায় বাংলাদেশেও তেমনটি ভাববার সুযোগ এসেছে কিনা জানতে চাওয়া হয় তামিমের কাছে।
ভারতের ক্রীড়া সাময়িকী ‘স্পোর্টস্টার’কে দেওয়া সাক্ষাৎকার বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ নিয়ে তামিম জানিয়েছেন তার মূল্যায়ন। তার মতে, ‘আমার মনে হয় না, প্রধান কোচ হওয়ার মতো যোগ্য কেউ এখন আছে বাংলাদেশে। এখন এমন দু-তিনজন আছেন, যারা সহকারী কোচ হতে পারেন। কিন্তু আমার মনে হয় না, তারা জাতীয় দলের প্রধান কোচ হওয়ার উপযুক্ত।’
কোচিং স্টাফ নিয়োগে নিজের চিন্তাধারা তুলে ধরে তামিম বলেন, ‘বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফে ৭০: ৩০ অনুপাত থাকা উচিত। প্রধান কোচ পদে একজন বিদেশি ও তার সঙ্গে বড়জোর আরও দুজন বিদেশি কোচ থাকতে পারেন। সহকারী কোচ পদে বাকি ৭০ শতাংশ বাংলাদেশি নিয়োগ করা উচিত। তাতে স্থানীয় কোচদের বেড়ে ওঠায় সাহায্য হবে এবং একদিন তারা প্রধান কোচ হতে পারবেন।’
কেমন কোচ খোঁজা উচিত বাংলাদেশের সে সম্পর্কে তামিম বলেন, ‘বাংলাদেশের বড় নামের পেছনে ছোটা বন্ধ করা উচিত। কারণ, বিখ্যাত সবাই দলের জন্য ভালো কোচ হয় না। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য কারা মানানসই, সেটা তাদের (বিসিবি) খুঁজে বের করতে হবে। সেই ব্যক্তিকে কঠোর পরিশ্রমী হওয়ার পাশাপাশি দলে কিছু যোগ করার সামর্থ্য থাকতে হবে।’
তামিম এরপর উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘রায়ান টেন ডেসকাট কি ক্রিকেটে খুব বড় নাম? তবু সে কিন্তু ভারতের কোচিং স্টাফের অংশ। আমাদের তার মতো মানুষ প্রয়োজন, যে পর্দার আড়ালে কাজ করবে। অভিষেক নায়ার কি বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের একজন? বিসিসিআই কেন তাহলে তাকে সহকারী কোচ হিসেবে পেতে চেয়েছে? কারণ, দলে ভালো কিছু যোগ করার মতো সামর্থ্য তার আছে। আমি যেটা শুনেছি, সে বেশ কয়েকটি দলে অবিশ্বাস্য কাজ করেছে এবং ভারতের কিছু ক্রিকেটারের সঙ্গেও নিবিড়ভাবে কাজ করছে। আমাদের বড় নামের পিছু না ছুটে এমন সব ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে হবে।’