খুবি প্রতিনিধি : খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) দিনব্যাপী ‘সিরাত কনফারেন্স’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৯টা পর্যন্ত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ এ কনফারেন্সটি অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই অনুষ্ঠান আয়োজন করেন।
সিরাত কনফারেন্সে প্রধান আলোচক ও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ, আমন্ত্রিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামি চিন্তাবিদ ও লেখক এস এম নাহিদ হাসান, লেখক ও প্রতিষ্ঠাতা ইত্বকান ইন্সটিটিউট কবির আনোয়ার।
অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. এস এম মাহবুবুর রহমান ও ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মো. নাজমুস সাদাত।
উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম ও খতিব মুফতি আব্দুল কুদ্দুস। অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত করেন খুবির জামে মসজিদের সহকারী ইমাম হাফেজ মাও: ক্বারী শাহাদুজ্জামান সালেহসহ আরো অনেকে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, আখলাক বা চরিত্র যেকোনো মানুষের জন্য অমূল্য সম্পদ। রাসূল (স:) চরিত্র বড় উদাহরণ। কত জুলুম প্রেষাণির পরেও, তিনি কখনো রেগে যেয়ে কাউকে কখনো ধমক দিয়ে কথা বলেননি। কখনো কোন স্ত্রী বলতে পারেননি যে তিনি আমাদের সাথে অবিচার করেছেন। তিনি কখনো কারো সাথে বৈষম্য করেননি। তার জীবনী থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা আমাদের আখলাক বা চরিত্র আরো সুন্দর করতে পারি। বাইরের দেশগুলোতে দেখা যায় তাদের চরিত্রের একদিকে উন্নত আচরণ থাকলেও অন্যদিকে কালো চরিত্রের পরিচয় দেন। যেমন- একটি কুকুরের প্রতি তাদের সহানুভূতি থাকলেও, ফিলিস্তিনি শিশুদের প্রতি তাদের কোন চিন্তাভাবনা নেই। তাই বলে আমি বলছি না কুকুরের প্রতি মানুষের সহানুভূতি থাকবে না।
এর আগে ০৫ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে হামদ, নাথ, কোরআন তেলওয়াত ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।