বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) এবং ম্যাভেরিক ইনোভেশনের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হয়েছে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয় পশুপালন অনুষদের ডিন অফিসের সম্মেলন কক্ষে পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ইউজিসি অধ্যাপক অধ্যাপক ড. সচ্চিদানন্দ দাস চৌধুরী, ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. খন্দকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শহীদুল হক, পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন, বাকৃবি রিসার্চ সিস্টেমের পরিচালক (বাউরেস) অধ্যাপক ড. এম. হাম্মাদুর রহমান, বাকৃবি রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হেলাল উদ্দীন এবং ম্যাভেরিক ইনোভেশনের সিইও ড. কবির চৌধুরীসহ ওই বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. বাপন দে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. হেলাল উদ্দীন, বাউরেসের পরিচালক অধ্যাপক ড. এম. হাম্মাদুর রহমান ও করেন পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. বাপন দে এবং ম্যাভেরিক ইনোভেশনের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ম্যাভেরিক ইনোভেশনের সিইও ড. কবির চৌধুরী ও ওই কোম্পানির পোল্ট্রি ইনোভেশন বিভাগের প্রধান অংকন লাহেরী।
এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বাকৃবি ও ম্যাভেরিক ইনোভেশন বিভিন্ন গবেষণা এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া তার বক্তব্যে বলেন, “এই সমঝোতা স্মারক বাকৃবি এবং ম্যাভেরিক ইনোভেশনের মধ্যে গবেষণা এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। আমাদের পোল্ট্রি শিল্পের আধুনিকায়নে গবেষণার প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সমঝোতা মাধ্যমে আমরা আরও কার্যকরী গবেষণা পরিচালনা করতে পারবো, যা আমাদের কৃষি ও পোল্ট্রি সেক্টরকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। আমি আশা করছি, এই চুক্তি দুই প্রতিষ্ঠানের জন্য দীর্ঘমেয়াদী সুফল বয়ে আনবে এবং আমাদের গবেষক এবং শিক্ষার্থীরা এই সুযোগ থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে উপকৃত হবেন।”
তিনি আরও বলেন, মার্কেটিং পর্যায়ে আমাদের গবেষণা বাড়াতে হবে। খামারীরা কেনো উৎপাদন করা পণ্য ফেলে দেই, তার সমাধান বের করতে হবে। এতে করে খামারীরা উৎপাদনে আগ্রহ হারাবে না। নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরির দ্বার উন্মোচন হবে।