পাবিপ্রবি প্রতিনিধি: পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) এক ছাত্রলীগ নেতাকে তুলে নিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। জহির রায়হান নামে ওই নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী।
রোববার (৬ অক্টোবর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। জহির রায়হানের বন্ধুরা জানান, বিকেল সাড়ে চারটার দিকে পরীক্ষা শেষে মেসে ফেরার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় গেট থেকে তিনি একটি অটোরিকশায় ওঠেন। অটোটি ক্যালিকো কটন মিল এলাকায় পৌঁছালে কয়েকজন যুবক তাকে জোর করে মোটরসাইকেলে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে লাঠি এবং হকিস্টিক দিয়ে হাত, পা, এবং পিঠে আঘাত করা হয়।
ভুক্তভোগীর পরিবারকে ফোন করে ১০ হাজার টাকা বিকাশে পাঠানোর জন্য বলা হয়। টাকা পাঠানোর পর এবং তার স্মার্টফোন কেড়ে নেওয়ার পর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে ভুক্তভোগীকে পাবনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
জহির রায়হানের বন্ধুরা আরও জানান, কারা তাকে তুলে নিয়ে গেছে তা জহির চিনতে পারেনি। তবে মারধরের সাথে ক্যাম্পাসের কারো সংশ্লিষ্টতা আছে বলে ও মনে করে। গত বুধবারও ক্যাম্পাস গেটে কয়েকজন তাকে মারধর করে হুমকি দেয়, এবং ক্যাম্পাসে না আসার সতর্কতা দেয়।
জহির রায়হান বলেন, “বিকেলের ঘটনার বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। কিছু বললে ওরা আমার আরও বড় ক্ষতি করতে পারে। আমার জীবন হুমকির মুখে রয়েছে, তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমার নিরাপত্তা চাইছি।”
এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামরুজ্জামান খান, ছাত্র উপদেষ্টা ড. রাশেদুল হক, এবং বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আরিফ ওবায়দুল্লাহ পাবনা সদর হাসপাতালে গিয়ে ভুক্তভোগীর সঙ্গে দেখা করেন।
প্রক্টর ড. কামরুজ্জামান খান জানান, “ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। জহির এখনও পর্যন্ত কারা এর সাথে জড়িত, তা বলতে পারেনি। তাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করব। তার নিরাপত্তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেবে।”