The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪

মধ্যরাতে বাকৃবিতে বিক্ষোভ: হলগুলোতে ছাত্রলীগ মুক্ত করার দাবি

বাকৃবি প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সকল আবাসিক হলকে ছাত্রলীগমুক্ত করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (৬ অক্টোবর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুল হক হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা মিছিল ও স্লোগান নিয়ে হলের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন।

পরে তারা মিছিল নিয়ে শহীদ নাজমুল হক হল, শাহজালাল হল এবং ঈশা খাঁ হলের দিকে অগ্রসর হলে ওই হলের কিছু শিক্ষার্থীও বিক্ষোভে যোগ দেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেনের সামনের রাস্তা দিয়ে কে আর মার্কেট পর্যন্ত অগ্রসর হয়, যেখানে শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগবিরোধী নানা স্লোগান দিতে থাকে।

জানা যায়, কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের প্রথম বর্ষের দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে ব্যক্তিগত বিষয়ে রেষারেষি চলছিলো। ফজলুল হক হল এবং শহীদ শামসুল হক হলের ওই শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেসেঞ্জারে কথা কাটাকাটির পর আব্দুল জব্বার মোড়ে দেখা হলে বিষয়টি হাতাহাতিতে রূপ নেয়।

এসময় ফজলুল হক হলের দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী নিজের হলের জুনিয়রের পক্ষ নিয়ে শহীদ সামসুল হক হলের ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী। ফজলুল হক হলের দ্বিতীয় বর্ষের ওই শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। পরে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর হলসহ বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে সব হল থেকে ছাত্রলীগমুক্ত করার জন্য বিক্ষোভ মিছিল করেন।

শহীদ শামসুল হক হলের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, “ফজলুল হক হলে আমার ক্লাসমেটের সাথে রেষারেষি হলে আমি তাকে নিয়ে আব্দুল জব্বার মোড়ে বোঝানোর চেষ্টা করি। এ সময় ফজলুল হক হলের দ্বিতীয় বর্ষের অভিযুক্ত শিক্ষার্থী এসে আমাকে মারধর করে।

অন্যদিকে, ফজলুল হক হলের অভিযুক্ত ওই শিক্ষার্থী বলেন, আমি আব্দুল জব্বার মোড়ে দেখি আমার হলের জুনিয়রকে ওই ছেলে চড় মারছে। আমি ঘটনা জানতে চাওয়ায় সে আমাকে গালি দেয় এবং আমার উপর চড়াও হয়। তাই আমি আত্মরক্ষার স্বার্থে যা করার করি। আমি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আমি ছাত্রলীগের সাথে জোরালো ভাবে যুক্ত ছিলাম না।

পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম শিক্ষার্থীদের দাবি শোনার পর জানান, “আমরা ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি, যা শীঘ্রই কাজ শুরু করবে। শিক্ষার্থীদের নিপীড়ন বা নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা হলে থাকতে পারবে না এবং তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.