শনিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় দিবসটি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়। র্যালি শেষে সকাল সাড়ে দশটায় কলেজ মিলনায়তনে বিশ্ব শিক্ষক দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মাধ্যমে আলোচনা সভা শুরু হয়। এই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন এ কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ যুহুর আলী।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) ড. দেওয়ান মোঃ হুমায়ুন কবির। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, শিক্ষক ব্যতীত জগৎ হচ্ছে জ্ঞানহীন আজকের এই প্রেক্ষাপটে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটা বিরাট পরিবর্তন এসেছে। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আবু সাঈদের মৃত্যু সবাইকে অত্যন্ত ব্যতীত করেছে এবং গণঅভ্যুত্থানে প্রাণশক্তি জুগিয়েছে। আমাদের এই অঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যতীত সারা বিশ্বের শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল বহুমুখী। শিক্ষকদের পালা পরিবর্তন এর মাধ্যমে সমাজে পরিবর্তন হবে। এই পরিবর্তনটা হচ্ছে গুণগত পরিবর্তন, এইগুলো গত পরিবর্তনের জন্য আমল পারা পরিবর্তন করতে হবে। এই পরিবর্তনের জন্য সামাজিক কাঠামো থেকে শুরু করে শিক্ষক শিক্ষার্থীর মানসিকতার পরিবর্তনের প্রয়োজন।
যতক্ষণ না এই পরিবর্তন সম্ভব ততক্ষণ পর্যন্ত এই অবস্থা কোন পরিবর্তন হবে না। আন্দোলন হবে রক্তে যাবে, কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন হবে না।
শিক্ষক দিবসে বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ ব্যানার্জী। রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান (অবসর) প্রফেসর শিরিন সুফিয়া খানম। রাজশাহী নিউ গভ: ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কালাচাঁদ শীল। রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আমিনা আবেদীন। রাজশাহী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. জুবাইদা আয়েশা সিদ্দীকা। রাজশাহী শাহ মাখদুম কলেজের অধ্যক্ষ জনাব এস এম রেজাউল ইসলাম। মোহনপুর মুজিবনগর সরকারী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আতা ইলাহী মোঃ আবদুল্লাহ। এছাড়াও রাজশাহী জেলার আরো অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
আলোচকগণ তাদের আলোচনায় বিশ্ব শিক্ষক দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে তথ্য ও উপাত্তমূলক বক্তব্য প্রদান করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতি রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ যুহুর আলী তাঁর আলোচনায় শিক্ষকদেরকে তাঁদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সচেতনতার সাথে পালন এবং বৈশ্বিক পরিবর্তনের সাথে নিজেকে পরিবর্তন করে নতুন প্রজন্মকে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সভাপতি মহোদয়ের অনুমতিক্রমে উপস্থাপক অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।