The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪

ফেইসবুকে সক্রিয় ৩ হত্যা মামলার আসামি জবি ছাত্রলীগ সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী

জবি প্রতিনিধি: ফেইসবুকে সক্রিয় তিন হত্যা মামলার আসামি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি। ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক থাকলেও হঠাৎ ফেসবুকে সক্রিয় দেখা যাচ্ছে তাকে।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) তাঁর ফেইসবুক একাউন্ট সক্রিয় দেখা যায় এবং একদিন আগে প্রোফাইলের ছবিও পরিবর্তন করেন তিনি। এছাড়াও বিভিন্ন পেজ ও আইডিতে গিয়ে কমেন্ট করতে দেখা যায়। তবে হত্যা মামলার আসামী হয়েও ধরা ছোয়ার বাইরে এই ছাত্রলীগ নেতা।

জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং পুরান ঢাকায় শিক্ষার্থীদের উপর হামলা,হত্যা সহ নানা ধরনের  নির্যাতনে সক্রিয় অংশগ্রহণ সহ নির্দেশদাতা হিসেবে ভূমিকা রাখেন জবি ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী। সরকার পতনের পর ২০ আগস্ট কবি নজরুল ইসলাম কলেজের ছাত্র ওমর ফারুকের হত্যা মামলার আসামি করে মামলা করেন কলেজছাত্রের মা কুলছুমা আক্তার।

২১ আগষ্ট পুরান ঢাকার লক্ষীবাজার এলাকায় এলেম আল ফায়দি নামে শিক্ষানবিশ এক টেকনিশিয়ান গুলি করে হত্যার অভিযোগে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামের আদালতে বাদী হয়ে সামসুল আরেফিন নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থী সূত্রাপুর থানায় দায়ের করেন। সানসুল আরেফিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে আছেন।

এরপর ১৬ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানা এলাকায় মনিরুল ইসলাম অপু হত্যা মামলায় রবিউল ইসলাম শাওন নামে একজন বাদী হয়ে কোতয়ালি থানায় মামলা হয় ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে।

তবে তিন হত্যা মামলার আসামি জবি ছাত্রলীগের সভাপতির ফেইসবুক আইডির মাধ্যমে সক্রিয় হওয়ায় সাধারণ  শিক্ষার্থীদের ভেতরে নানা ধরনের  প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।

অভিযোগ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, নতুন স্বাধীন দেশে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের হত্যাকারী এই ভাবে সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় হওয়া এবং আটক না হওয়া স্বাধীনচেতাদের জন্য আতংক। এবং শহীদদের জন্য অপমানকর। দ্রুত এই কুলাঙ্গারের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

এই বিষয়ে হত্যা মামলার বাদী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সামসুল আরেফিন বলেন,ফ্যসিস্টদের দোসররা বিভিন্ন অপকর্মের মাধ্যমে নিজেদের জানান দেয়ার চেষ্টা করছে, গণঅভ্যুত্থানের সুফল বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার কাছে পৌঁছে দিতে এদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।

সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো সাইফুল ইসলাম মামলার বিষয়ে বলেন, মামলা যাচাইয়ের কাজ চলছে যারা প্রকৃত দোষী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ছাত্রলীগের সভাপতির বিষয়ে বললে তিনি বলেন, আমরা তো আসামির সাথে  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্ত নাই। আসামিদের বিষয়ে তথ্য দিয়ে সাহায্য করলে আমরা গ্রেপ্তার করতে পারব।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.