বিনোদন ডেস্ক: মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন আমাকে উপদেষ্টা করা এখন সময়ের দাবি। গতকাল এক ফেসবুক পোস্টে ফারুকী জানান, তাকে নিয়ে একদল মানুষ অপপ্রচার ছড়াচ্ছে। আর আজ বৃহস্পতিবার সকালে মজার ছলে এই নির্মাতা এক কথা জানান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের শুরু থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব ছিলেন এই নির্মাতা। গণঅভ্যত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরও সেই ধারাবাহিকতা অব্যহত রেখেছেন। চলমান নানা ইস্যুতে নিজের মতামত প্রকাশ করতে গিয়েই এমন মন্তব্য করেন তিনি।
ফারুকীর কথায়, ‘আমাকে উপদেষ্টা করা এখন সময়ের দাবি। আওয়ামী প্রোপাগান্ডা লীগ যেভাবে আমার ব্যাপারে তাদের ক্ষোভ জানাচ্ছে তাতে বোঝা যাচ্ছে ফ্যাসিবাদের পতনে আমার বিশাল ভূমিকা আছে। সুতরাং “ফ্যাসিবাদের পুচ্ছে আগুন” কোটায় আমাকে উপদেষ্টা করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
যারা অপপ্রচার ছাড়াচ্ছে তাদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘ওদের বুদ্ধি যদিও খুলবে না, তবুও একটু বলি। ওহে, আমি কোনো রাজনৈতিক কর্মী না। আমি আওয়ামী লীগ-বিএনপি সবারই ভালো কিছুর প্রশংসা এবং খারাপ কাজের নিন্দা করতে পারি। ফ্যাসিবাদের কালে যেহেতু এই দেশেই থাকতে হইছে, ফলে আমাদের বেঁচে থাকা ছিল বড় কৌতুকময়। সৌভাগ্য হোক দূর্ভাগ্য হোক, রাডারের নিচে থাকার কারণে নানা কায়দা-কানুন করে বেঁচে থাকতে হইত। সরকারের সমালোচনা করে একটা পোস্ট দিলে তিনটা দিতে হইত প্রশংসা করে। আবার সমালোচনারও কিছু প্যাটার্ন আছে। প্রধানমন্ত্রীকে বাইরে রেখে অন্যদের সমালোচনা করতে হইত। তারপর ধরেন, আপনার সিনেমা আটকে যাবে যেটা আটকানোই অন্যায়। সেই সিনেমা ছাড়ানোর জন্য তদবির করবেন। এবং ছাড়ানোর পর ধন্যবাদ দিবেন। নানাবিধ কৌতুকময় ছিল এই জীবন। সামনে আমার কাজে এইসবের ছাপ দেখবেন অল্প বিস্তর।’
সবশেষ ফারুকী বলেন, ‘ওরাও জানে ওদের লুটপাট, টেন্ডার বাণিজ্য, চুরি-চামারি, ব্যবসা কোনো কিছুর সঙ্গেই আমাদের কোনো সম্পর্ক নাই। কিন্তু আমাদের উপর রাগ আছে। কেন আমরা ফ্যাসিস্ট পতনের আন্দোলনে নামলাম- এই ক্ষোভ বড় গভীর। এই ক্ষোভ ঢালার জন্য এখন ওদের কষ্ট করে আমার টাইমলাইনের উপর পিএইচডি করতে হচ্ছে। কিন্তু ওদের নিজেদের জন্য ভালো হবে এইসব সময় ব্যয় না করে, আত্মশুদ্ধির পথে হাঁটা। আর বাংলাদেশের করণীয় হচ্ছে মানবতা বিরোধী অপরাধ আর সীমাহীন লুটপাটের বিচার করা।’