সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আবারও রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে শাহবাগ এলাকায় শত শত চাকরিপ্রার্থী উপস্থিত হয়ে বক্তব্য ও নানা ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন। চাকরিপ্রত্যাশীদের এ আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও পড়াশোনা সম্পন্ন করা বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ। এমনকি তাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন।
শিক্ষার্থীরা জানান, করোনা মহামারি, রাজনৈতিক অস্থিরতা, সেশন জটসহ নানা কারণে পড়াশোনা শেষ করতে করতে চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর অনেকের পার হয়ে গেছে। এ অবস্থায় বয়সের সীমা সর্বোচ্চ ৩৫ করার দাবি করেন তারা। এমনকি দাবি আদায়ে রাজধানীর শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে মহাসমাবেশ কর্মসূচির পালনের ঘোষণাও রয়েছে তাদের।
আব্দুল আজিজ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের দাবি যৌক্তিক হলেও বিগত আওয়ামী লীগ সরকার তা মানেনি। বয়স না বাড়ানোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমরা বরাবরই অনড় ছিলাম। কিন্তু দীর্ঘদিন আন্দোলন করলেও চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়েনি। এতদিন আমরা বৈষম্যের শিকার হয়েছি। তবে যেহেতু এখন ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসেছে, তাই আমাদের যৌক্তিক দাবির বিষয়েও আমরা আশা দেখছি।
এদিকে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়স ৬৫ বছর করার দাবি জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দিয়েছে প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। এ চিঠি গত ১৮ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মপরিধির আওতার মধ্যে পড়ায় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দাবি সংক্রান্ত সেই চিঠি বা প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।