The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

বন বিভাগের উচ্ছেদ অভিযানকে বিতর্কিত করার চেষ্টা

নাইমুর রহমান: গত ২৩শে সেপ্টেম্বর বন বিভাগ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় ৫০ একর বনভূমি উদ্ধার করে। এ অভিযানে দিকনির্দেশনা দেন চট্টগ্রাম সার্কেলের বন সংরক্ষক ড. মোল্যা রেজাউল করিম ও সার্বিক সহায়তা দেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এর পরিপ্রক্ষিতে সহকারী বন সংরক্ষক মো: দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একদল বন কর্মী ঝাঁপিয়ে পড়ে চুনতি রেঞ্জের সাতগড় বিটের বনভূমি উদ্ধার অভিযানে। প্রায় ২০০ জনবলের সমাগমে অভিযানটি পরিচালিত হয়। কেটে দেওয়া হয় ছড়ার স্বাভাবিক প্রবাহের মাঝে বাঁধ দিয়ে নির্মান করা ১৭ টি পুকুর।

এছাড়াও, উচ্ছেদ করা হয় পাহাড় কেটে তৈরি পান বড়জ। এতে প্রকৃতি ফিরে পায় তার আপন গতি। হাতি ফিরে পায় তার পুরুনো পথ। অথচ এই ঘটনাকে সাধুবাদ না জানিয়ে একদল বন খেকো পরিকল্পিতভাবে ২৩শে সেপ্টেম্বরের অভিযানকে বিতর্কিত করার অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেন রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বিভাগীয় প্রধান আব্দুল্লাহ আল মামুন ।

তিনি বলেন, অভিযানটিতে পুরো চট্টগ্রাম অঞ্চলের কর্মকর্তা কর্মচারী অংশ নিয়েছিলো৷ দেশের জনপ্রিয় জাতীয় পত্রিকা গুলোতে প্রচার হয় এই উদ্ধার অভিযান। কিন্তু, এর-ই মধ্যে বন খেকো একদল ষড়যন্ত্র করতে থাকে অভিযান পরিচালনা করা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। ভিত্তিহীন মানববন্ধন করে জরিমানা আদায়ের পাঁয়তারা করা ও বিভিন্ন পত্রিকায় ভুল তথ্য দিয়ে প্রচার করতে থাকে।

এ বিষয়ে চুনতি রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: মোস্তাফিজুর রহমান এর ভাষ্য , বন বিভাগ তার আইন অনুসারে নিজস্ব গতিতে কাজ করেছে, এতে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ আনার কোনো সুযোগ নেই। বন বিভাগের জমিতে অবৈধভাবে জবরদখল করে নির্মিত ১৭ টি পুকুর ও পানবড়জ আমরা কেটে দিয়েছি। এবং এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অভিযানটি বিষয়ে সাতগড় বিট কর্মকর্তা মো: রফিকুল ইসলাম জানান, সরকারী কাজ আমরা নিয়ম মেনেই করেছি, এর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর কোনো যুক্তি দেখি না। দখলকারীরা বনভূমি দখল করে খাবে, আর আমরা সেটা উদ্ধার করলেই মানববন্ধন করবে এটা মানা যায় না। দখলবাজদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।

অভিযোগকারী ইসমাইল হোসনের (চুনতি) যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সরেজমিনে জানা যায়, চুনতি মৌজার ৩ নং সিটের আরএস-ষ২৫১, বিএস – ৭৫৬২ ও ৪ নং সিটের আরএস-ঝ৭০, বিএস ৭৭৬৬ দাগগুলোতে পুকুর ও পান বরজ ছিলো যা বন বিভাগের গেজেটভুক্ত জমি।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.