ঢাবি প্রতিনিধি: দিল্লীর সাথে চোখ চোখ রেখে কথা হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।
আজ রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর ) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে
ভারতের সাথে বাংলাদের সকল আন্তর্জাতিক নদীর ন্যায্য হিস্যার দাবিতে, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে গজলডোবা বাঁধ খুলে রংপুর বিভাগে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টির অভিযোগ এনে তার প্রতিবাদে ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবানের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে উপস্থিত হয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সমাবেশে আখতার হোসেন বলেন,দিল্লির সাথে কথা হবে চোখে চোখ রেখে। উত্তরবঙ্গের মানুষ যখন কোনো ফসল উৎপাদন করে তখন ভারত কোনো আগাম বার্তা না দিয়ে হটাৎ করেই তিস্তার বাঁধ খুলে দেয়।বাংলাদেদেশে নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট থাকলেও আমরা তার কোনো কর্মতৎপরতা দেখতে পাইনা। ভারত সরকার প্রতি বছর বাঁধ খুলে দিয়ে উত্তরবঙ্গের মানুষের জান মালের ক্ষতি করে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বিগত সরকার রংপুরের উন্নয়নের জন্য কোনো বাজেট দেয়নি। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মাত্র এক লক্ষ টাকা বাজেট দেওয়া হয়েছে যেটা খুব ই হাস্যকর।
বাঁধ খুলে দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতের সাথে আমাদের দেশের মানুষের অনেক মিল আছে। এভাবে হটাৎ করেই যদি বাঁধ খুলে দেওয়া হয় তাহলে দিল্লির সাথে কথা হবে চোখে চোখে। এসময় তিনি অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধান চেয়েছেন।
যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান সাহিদ বলেন, উত্তরবঙ্গ সবসময় অবহেলিত একটি অঞ্চল। সেদিকে কারো নজর নেই। অথচ কৃষির বড় একটা অংশ উত্তরবঙ্গ থেকে আসে। আর দেরি নয় আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছি যে তিস্তাপারের বন্যার যেন দ্রুত সমাধান করা হয়।
প্রসঙ্গত,প্রবল বর্ষণ ও উজানের ঢলের পানিতে উত্তরের কয়েকটি জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। কুড়িগ্রামে প্লাবিত হয়েছে দুই শতাধিক গ্রাম। পানি বন্দি প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। লালমনিরহাট, গাইবান্ধাতেও পানি বন্দি কয়েক লাখ মানুষ।