দুর্গাপূজার আর বেশি দিন বাকি নেই। এ উপলক্ষ্যে শুরু হলো আনন্দবাজার অনলাইনের বিশেষ বিভাগ ‘তারকার পুজো’। উদ্যাপনের স্মৃতি ও পরিকল্পনা জানাচ্ছেন বিনোদন জগতের তারকারা। এবার পূজা নিয়ে ভক্ত-অনুরাগীদের শেয়ার করে জানালেন টালিউড অভিনেত্রী কৌশানি মুখোপাধ্যায়।
তিনি লিখেছেন, এ বছরের পূজা অন্য রকম। পূজার আগে শহরজুড়ে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর গন্ধ। তার মধ্যেই মাত্র চার দিনের জন্য দেবী আসছেন। অনেক বিষাদেও ভালো লাগার আবেশ। আর এ বছর আমার পূজায় মুক্তি পাচ্ছে ‘বহুরূপী’। তাই এবারের পূজায় যতটা অভিনেতা বনি সেনগুপ্তের সঙ্গে ততটা শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়েরও।
কৌশানি বলেন, আমার কাছে পূজা মানে ছোটবেলায় ফিরে যাওয়া। মায়ের সঙ্গে ব্যাগ ভরে কেনাকাটা। মা আর নেই। বাবা সবসময় সেই ফাঁক পূরণ করার চেষ্টা করেই চলেছেন। তবু সেই ফাঁক কি ভরে? আমার কাছে দেবী তাই মাতৃস্বরূপিণী। মাত্র চারটে দিন, সব দুঃখ পাশে সরিয়ে একটু বেশি হাসিখুশি থাকার দিন। এ বছর নানা কারণে পূজার কেনাকাটা এখনো করে উঠতে পারিনি। তবে ব্লাউজ বানাতে দিয়েছি বেশ কয়েকটি। আমার পূজা মানেই শাড়ি। আমার বাড়িতেও দেবী পূজা হয়। ফলে দিনের বেশিরভাগ চলে যায় সেই আয়োজনে।
এ অভিনেত্রী বলেন, ছোটবেলাটাকে খুব মিস করি, জানেন! শিউলির গন্ধে, ঢাকের বোলে ঘুম ভাঙা। সকাল সকাল স্নান সেরে মণ্ডপে। বন্ধুরাও হাজির। অষ্টমীর অঞ্জলি। আড় নজরে সুন্দর পুরুষের সঙ্গে চোখাচোখি। পাড়ার সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় প্রতি বছর ‘সেরা’ সেরার শিরোপা। মনটা ভালো হয়ে যেত। সেই দিনগুলোই অন্য রকম। সেসব আনন্দের পুরোটা না থাক, এখনো অনেকটাই আছে। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘোরা আছে। ফুচকা, ঠাকুরের ভোগ, বিরিয়ানি খাওয়া আছে। ভরপেট পেটপূজা করে ওজন বাড়িয়ে ফেলা আছে। সকালে শাড়ি বিকালে ড্রেস পরা আছে। আর আছে অনুরাগীদের ভিড়ে নিজের জনপ্রিয়তা আরও একবার যাচাই করে নেওয়ার তাগিদ।
কৌশানি বলেন, মজার কথা কী জানেন— আমি আর বনি যখন বেরই, তখন বেশি ভিড়। কিন্তু বনিকে ঘিরেই। নিজস্বী তোলার ভিড়। আমায় অনেকেই কেন যেন একটু সমঝে চলেন! ভাবেন বোধহয়, যদি বকে দিই। যদিও আমি একেবারেই তেমন নই। তিনি বলেন, আর হ্যাঁ, এ বছর প্যান্ডেলের পাশাপাশি প্রেক্ষাগৃহে যাওয়াও আছে। ছবি দেখার পর দর্শকদের মুখোমুখি। আজও নতুন ছবিমুক্তির পর ভয়ে বুক ঢিপঢিপ করে। এ বছরের পূজার ক্যালেন্ডার আপাতত এভাবেই সাজানো।