ইবি প্রতিনিধিঃ ভারতে পুরোহিত কর্তৃক বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে গালি ও কটুক্তির প্রতিবাদে মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাদ জুম্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে একত্রিত হন শিক্ষার্থীরা। পরে মসজিদের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ও পাশ্ববর্তী শেখপাড়া বাজার প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় মসজিদে এসে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা। এসময় শিক্ষার্থীরা ভারত সরকারের প্রতি এ ধরনের বিদ্বেষমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আহ্বান জানান।
এসময় শিক্ষার্থীরা নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার; নবীর দুশমনের দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে; সাবিলুনা কাবিলুনা, আল জিহাদ, আল জিহাদ; জিহাদ জিহাদ জিহাদ চাই, জিহাদ করে বাচঁতে চাই; ইসলামের শত্রুরা হুশিয়ার সাবধান ;বিশ্বনবীর অপমান, সইবে না রে মুসলমান; আমরা সবাই রাসূল সেনা, ভয় করিনা বুলেট বোমা সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারতের এক পুরোহিত আমাদের প্রিয়নবী মুহাম্মদ (সঃ) এর নামে কটুক্তি করেছে। এই অপমান আমরা মেনে নিবো না। এর বিরুদ্ধে যদি আমাদের প্রাণ দিয়ে দিতে হয় তার জন্যও আমরা প্রস্তুত আছি। এই পুরোহিতের শাস্তি যতদিন কায়েম করা হবে না, ততদিন আমাদের হৃদয়ের এই আগুন নিভাতে পারবে না। জাতিসংঘ থেকে আইন পাশ করা হওক, যারা ধর্মীয় নেতাদের নামে কটুক্তি করবে, তাদেরকে ফাঁসিতে ঝুলানো হবে।
তারা আরও বলেন, আপনারা মনে রাখবেন, পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গেলেও আমাদের প্রিয়নবী মোহাম্মদ (সা.) এর নাম পৃথিবী থেকে মুছে ফেলা সম্ভব নয়।আমাদের প্রিয়নবী কে নিয়ে যদি বিন্দুমাত্র কটুক্তি করা হয়, আমরা মোটেও সহ্য করবো না। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে পুরো বিশ্ব থেকে যুদ্ধঘোষণা করা হবে।
ভারতে রসুলল্লাহ (সা) কে কটুক্তির প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
ভারত সরকারের এমন দু:সাহসিকতা নিয়ে শিক্ষার্থীর বলেন, এর আগেও ভারত এধরণের কাজের দুঃসাহস করেছে। আমরা আইন হাতে তুলে নিতে চাইনা। আমরা দোষীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবী জানাই। যদি তার বিচার করা না হয়, তাহলে পুরো বিশ্বের মুসলিমদের পক্ষ থেকে যে গর্জন আসবে তাতে দিল্লি ও ভারত টুকরো টুকরো হয়ে ছারখার হয়ে যাবে। নবীজিকে অপমান করা মানে বিশ্বের প্রতিটি মুসলমানের কলিজায় আঘাত করা। নবীর আশেকরা এটা কখনোই মেনে নিবে না।
এ সম্পর্কে বক্তারা আরও বলেন, যেই ভারত বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনের নামে গুজব ছড়ায়, সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে নিজেদের মহান দাবি করে। অথচ তাদের দেশের মুসলমানদের উপরেই চলছে প্রকাশ্য নির্যাতন। যেখানে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল থেকে শুরু করে ইরান এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তারপরও ভারতীয় হিন্দুত্ববাদের, উগ্র জঙ্গিবাদের কোন শেষ নেই এই দেশে। সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হযরত মুহাম্মদ (স.) কে নিয়েও কটুক্তি করার দুঃসাহস দেখিয়েছে ভারতের পুরোহিতেরা। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অতিসত্বর ভারতকে এই উগ্রবাদের রাজনীতি থেকে বের হবে এবং দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।