ঢাবি প্রতিনিধি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি )ক্যাম্পাসে মেধার রাজনীতি চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবিরের সভাপতি সাদেক কায়েম।
আজ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর ) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনপর ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে এসেছে ছাত্রশিবির।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শিবির ঢাবি শাখার সভাপতি সাদিক কায়েম বলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে আমরা প্রশাসন কে জানিয়েছি রাজনীতি বন্ধ করা কোনো প্রাজ্ঞ সিদ্ধান্ত নয়। গণভ্যুত্থানের প্রত্যাশার আলোকে ছাত্ররাজনীতি গড়ে উঠবে। গত পনেরো বছরে ধরে ছাত্ররাজনীতির নামে জুলুমতন্ত্র চলে আসছে। আমরা এটার অবসান চাই। আমরা মেধার ভিত্তিতে রাজনীতি, শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের রাজনীতি চাই।
তিনি আরও বলেন, আমরা ইনক্লুসিভ ছাত্র রাজনীতি চাই। এখানে কোনো বিভাজন থাকবে না। শিক্ষার্থীরা তাদের কথা বলার অধিকার পাবে, স্বাধীনতা পাবে। প্রত্যেকেই তাদের আদর্শ চর্চা করবে কিন্তু কেউ কাউকে বলপ্রয়োগ করে চাপিয়ে দিতে পারবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতির সংস্কার কেমন হবে তা নিয়ে আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকল ছাত্রসংগঠনগুলোকে নিয়ে একটি পলিসি ডিসকাশনের আহ্বান করেছি। সেখানে ছাত্রসংগঠনগুলো তাদের মতামত তুলে ধরবে।
রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়ে তিনি আরো বলেন, এখনও কোনও সিদ্ধান্ত আসেনি। এটা সিন্ডিকেটে আলোচনা হয়েছে। আমরা কী ভাবছি জানতে চেয়েছেন। এর আগে হলগুলোতে ভিজিট করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেছেন। পাশাপাশি কিছু জরিপও হয়েছে। এই জরিপগুলোও উনাদের কাছে এসেছে। এখন ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্ধ যারা রয়েছেন তাদের সাথে উনারা বসেছেন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের অন্যতম একটা দাবি ছিলো খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন দেওয়া। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের যে গেস্টরুম ও গণরুম ব্যবস্থা ছিলো তা বিলুপ্ত করার জন্য আমরা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই। মেধা এবং প্রয়োজনের ভিত্তিতে সবার জন্য সিটের যে নতুন বন্দোবস্ত হয়েছে তা যেন চলমান থাকে এবং এ জায়গাগুলোতে প্রশাসনকে আরো শক্তিশালী করা হয় সেই আহ্বান জানাই।