দরকার ছিল ৯ রান। তামিম ইকবালকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশের জার্সিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের মালিক হতে খুব একটা অপেক্ষা ছিল না মুশফিকুর রহিমের। চেন্নাইয়ে ব্যাটিং ব্যর্থতার প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ৮ রান। তাতে স্পর্শ করেছিলেন তামিমের ১৫ হাজার ১৯২ রানের মাইলফলক।
দ্বিতীয় ইনিংসে এক রান করতেই দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক হলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশিদিন খেলার রেকর্ডটাও এখন বগুড়ার এই ক্রিকেটারের। এবার রানের সংখ্যাতেও সবার ওপরে তুললেন নিজের নাম। যদিও মাইলফলকের দিনে নিজের স্কোরটা খুব একটা বড় করা হলো না তার। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে লোকেশ রাহুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন মুশফিক। সাজঘরে ফিরেছেন ১৩ রান করে।
এখন পর্যন্ত দেশের হয়ে ৯১ টেস্টে করেছেন ৫ হাজার ৯১৩ রান। ২৭১ ওয়ানডে ম্যাচ থেকে মুশফিকের রান ৭ হাজার ৭৯২। আর টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের আগে ১০২ ম্যাচে করেছিলেন ১ হাজার ৫০০ রান। সবমিলিয়ে মুশফিকের রান ১৫ হাজার ২০৫। দুইয়ে থাকা তামিম ইকবালের রান ১৫ হাজার ১৯২।
বাংলাদেশের হয়ে রানের হিসেবে ১৫ হাজার রান পার করেছেন কেবল এই দুজনেই। তিনে থাকা সাকিব আল হাসানের রান ১৪ হাজার ৬৯৬। আর ১০ হাজার পার করা দেশের অপর ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১০ হাজার ৬৯৪ রান করে দেশের ইতিহাসের চতুর্থ সর্বোচ্চ রান স্কোরার তিনি।
চার সিনিয়রের পরেই এই তালিকায় আছেন লিটন দাস। দেশের হয়ে ২৪৪ ম্যাচ খেলে ফেলা লিটনের রান ৭ হাজার ১৮৩।