The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪

যুবককে হত্যার পর হল ছেড়ে বাড়ি চলে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা

ঢাবি প্রতিনিধিঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের অনেক শিক্ষার্থী হল ছেড়ে বাড়ি চলে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় শিক্ষার্থীদের ব্যাগ নিয়ে হল ছেড়ে বেরিয়ে যেতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ফজলুল হক মুসলিম হলে গিয়ে দেখা যায়, পুরো হলে সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীরা রুমের দরজা বন্ধ করে ভেতরেই অবস্থান করছেন। সাড়ে ৯টার পর শিক্ষার্থীরা হল ছেড়ে চলে যেতে শুরু করেন। এ সময় তাদের বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হলে কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
হলের একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হলে টুর্নামেন্ট চলছে। বুধবার দুপুরে খেলার সময় ৬টি মোবাইল ও চারটি মানিব্যাগ চুরির ঘটনা ঘটে। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সেই ক্ষোভ থেকেই তোফাজ্জলের এমন পরিণতি হয়ে থাকতে পারে।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে ফজুলল হক মুসলিম হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বৃহস্পতিবার সকালে দ্যা রাইজিং ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘বুধবার একটি ব্যাগে ৬টি মোবাইল ও ৪টি মানিব্যাগ রাখা হয়েছিল। ব্যাগটি কমেন্ট্রি বক্সের পাশে রাখা হয়। সেখান থেকে কে বা কারা ব্যাগটি চুরি করে নিয়ে যায়।
২০১৮-১৯ সেশনের এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘আমরা গেস্টরুমে গিয়ে দেখি একজনকে পেটানো হচ্ছে। দুপুরে চুরির ঘটনায় হলের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করা হয়েছে। যাকে মারধর করা হচ্ছিল তার সঙ্গে চোরের চেহারার কোনো মিল ছিল না। তবুও তাকে কেন পিটিয়ে হত্যা করা হলো বিষয়টি আমাদের কারোই বোধগম্য নয়। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। দোষী যেই হোক না কেন তার শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
এদিকে চোর সন্দেহে ভারসাম্যহীন তরুণকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ঘটনায় জড়িতদের কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাবি প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ। বৃহস্পতিবার সকালে দ্যা রাইজিং ক্যাম্পাসের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
রাত ১০টার দিকে হলের হাউস টিউটররা ঘটনাস্থলে গেলে রাত ১২টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায় কয়েকজন শিক্ষার্থী। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করলে ওই শিক্ষার্থীরা সেখানে রেখেই সরে যায়।
জানতে চাইলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফারুক বলেন, নিহতের লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। শাহবাগ থানা থেকে পুলিশ এসেছিল। পরবর্তী কার্যক্রম তারাই এগিয়ে নেবে।
You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.